পিকনিকের আয়োজনে হামলা, অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়ার সোনাকানিয়ায় একটি পিকনিকের আয়োজনে হামলা চালিয়ে রান্না করা খাবার মাটিতে ফেলে দিয়ে ও প্যান্ডেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল আলীম আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও মুসল্লিদের জন্য এ পিকনিকের আয়োজন করেন। গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের হাতিয়ার পুল এলাকায় এ পিকনিকের আয়োজন করা হয়। সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দোস্ত মোহাম্মদ টিটু বলেন, ‘সোনাকানিয়ার বাসিন্দা চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল আলীমের উদ্যোগে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্থানীয় মসজিদের মুসল্লিদের জন্য পিকনিকের আয়োজন করেন। এ উপলক্ষে প্যান্ডেল করা হয় এবং গতকাল দুপুরের পর থেকে বাবুর্চিরা খাবার তৈরি করেন। সন্ধ্যার দিকে খাবারের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়। এশার নামাজের পর খাবার শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন ও তার ভাই খোরশেদের নেতৃত্বে ৪০৫০ জনের দল এসে প্রথমে চেয়ার, টেবিল ও প্যান্ডেল ভাঙচুর করে। পরে তৈরিকৃত সব খাবার মাটিতে ফেলে নষ্ট করে দেয়।’

পিকনিকের মূল আয়োজক চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল আলীম বলেন, ‘আমি মূলত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় মসজিদের মুসল্লিদের জন্য পিকনিকের আয়োজন করেছিলাম। খাবার তৈরি থেকে শুরু করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু খাবার শুরু করার আগে ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন ও তার ভাই খোরশেদের নেতৃত্বে কতিপয় লোকজন সব খাবার মাটিতে ফেলে নষ্ট করে দেয়। পিকনিকে আমন্ত্রিতরা বিগত সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছিলেন।’ শুধুমাত্র সেই অপরাধে চেয়ারম্যান জসীম খাবারগুলো ফেলে দিয়েছেন বলে দাবি করেন আবদুল আলীম।

সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন বলেন, ‘পিকনিকের আয়োজনকারীদের মধ্যে অনেক মাদকসেবী রয়েছে। তাদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে চেয়ার টেবিল ও প্যান্ডেল ভাঙচুর করেছে এবং খাবার মাটিতে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনার সাথে নির্বাচনে নৌকার পক্ষে বিপক্ষে করার কোনো সম্পর্ক নেই। এলাকার লোকজন যেহেতু ভাঙচুর করেছে আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়ভার আমার কাঁধে নিলাম। কারণ মাদকসেবীদেরকে এভাবে প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠান করতে দেয়া যাবে না।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল
পরবর্তী নিবন্ধএক রানের নাটকীয় জয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ