চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় সুদূর বরগুনা থেকে ছুটে এসেছেন পরিবহন ব্যবসায়ী মো. হুমায়ূন কবির। বরগুনা জেলার কয়েকটি রুটে তার বাস রয়েছে। রাজনীতি তার নেশা। জেলা যুবলীগের সহ–সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী অন্তঃপ্রাণ হুমায়ুন। দেশের যেখানেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় জনসভা হয় সেখানে ছুটে যান হুমায়ুন কবির। একটা পিক–আপের ওপর কাঠের নৌকা বেঁধে তার ওপর বসেন হুমায়ুন। এভাবেই জনসভায় ছুটে আসেন আনোয়ারায়। তিনি নৌকার ওপর যেখানে বসেছেন সেখান থেকে জনসভার মঞ্চ দেখা যাচ্ছে। ছাউনি দেওয়া নৌকার একপাশে একটা বৈঠাও আছে। ছাউনির নিচে মাদুর পাতা রয়েছে। সেখানেই তিনি বসেন এবং ঘুমান। পিক–আপের চারপাশে ব্যানারে হুমায়ূন কবিরের পরিচয় লেখা রয়েছে। সেখানে তার নামের পাশে ব্র্যাকেটে লেখা আছে ‘নৌকার মাঝি’। আরও আছে বরগুনা জেলা যুবলীগের সহসভাপতি এবং বরগুনা জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি।
পিকআপের ভেতর একটা সিঁড়ি রয়েছে। ওই সিঁড়ি দিয়ে নৌকায় ওঠানামা করেন। হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে কথা হয় নৌকাটির ওপর। পঞ্চাশোর্ধ হুমায়ূন কবির বলেন, ৩০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভা সমাবেশে যাচ্ছি। শুধু আনোয়ারায় নয়, রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার জনসভা হয় সেখানেই যাই।
গতকাল সকালে জনসভা শুরুর আগ মুহূর্তে পিকআপের উপর লোহার স্ট্যান্ড লাগিয়ে নৌকা বানিয়ে আনোয়ারায় উপস্থিত হন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে তিনদিন প্রচারণা চালিয়ে গতকাল সকালে কেইপিজেড মাঠে সমাবেশস্থলের বাইরে বৈঠা হাতে নৌকায় বসে ছিলেন হুমায়ুন। এসময় তার সাথে সমাবেশে আসা বিভিন্ন বয়েসী লোকজন ছবি তুলছিল। জনসভার প্রবেশ মুখে পিকআপের উপর বিশাল নৌকার উপর বসে থাকা হুমায়ুনকে দেখে আগত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনেকেই হাততালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এসময় তার কাছে এই ব্যতিক্রমী প্রচারণার বিষয়ে জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির জানান, পারিবারিক ভাবেই তিনি আওয়ামী লীগ পরিবারে বড় হয়েছেন। তার বাবা আবদুস সাত্তার মিয়া বরগুনা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। সবাই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নিজে ১৯৯৯ সাল থেকে দুবার বরগুনা পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। শেখ হাসিনার বড় কোনো সভা সমাবেশের খবর পেলেই ছুটে যান। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনেও একইভাবে আমি বরগুনা থেকে সেতুতে এসেছিলাম। তবে চট্টগ্রামে এসেছি এ প্রথম। সরকারের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরতেই তার এ প্রচারণা বলে জানান তিনি।