জানমালের ক্ষতি এড়াতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানার পূর্বেই স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার আহবান করে নগরের উপকূলীয় এলকায় মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল দুপুরে এ মাইকিং করা হয়। এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় টানা বর্ষণ হলে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা থাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদেরও নিরাপদ আশ্রয়স্থলে যাওয়ার অনুরোধ করে মাইকিং করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নগরের উপকূলীয় এলাকাগুলোর মধ্যে পতেঙ্গা, হালিশহর কাট্টলী, রাণী রাসমনিঘাট, আকমল আলী ঘাট এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, স্থানীয় কাউন্সিলর, সিপিপির (ঘূর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসূচি) টিম, রেড ক্রিসেন্টের টিম, ইপসার টিম, জেলা এনজিও কো অর্ডিনেটর এ মাইকিং করে। ঘূর্ণিঝড় মোখা শুরুর আগেই আশ্রয় কেন্দ্রে ও নিরাপদ স্থানে জেলে পরিবারগুলোর সরে যেতে অনুরোধ করা হয়।
এদিকে জেলার উপকূলীয় সকল উপজেলা অর্থাৎ সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড, মিরসরাইয়েও গতকাল মাইকিং করা হয়। এদিকে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকেও নদী–সাগরে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সদরঘাট নৌ থানার ওসি একরাম উল্লাহ বলেন, সদর দফতরের নির্দেশনা মোতাবেক নদী–সাগরে কর্মরতদের সচেতনতার লক্ষ্যে সদরঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা মেনে নৌযানগুলো নিরাপদে নোঙর করার জন্য বলা হয়েছে। তিনটি টিমে বিভক্ত হয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।