পাহাড় কেটে সড়কে মাটি

ঠিকাদারের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ বারইয়ারহাট-করেরহাট

মীরসরাই প্রতিনিধি | বুধবার , ৭ এপ্রিল, ২০২১ at ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

ভারতের সাথে চট্টগ্রামের কানেক্টিভিটির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে রামগড় টু সাবরুম নতুন ইউংস। কিন্তু রামগড় থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে লিংক রোডটি পুরনো ও সংকীর্ণ। এই সড়কটি প্রশস্ত করতে সরকার দুই বছর আগে থেকে কাজ করছে। কিন্তু অভিযোগ আছে, প্রকল্পের ঠিকাদার সিপিসিএল ধীরগতিতে কাজ করছে। পণ্য সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনায় আছে অনিয়ম।
ঠিকাদার সিপিসিএল বারইয়াহাট-করেরহাট রুটের কয়েকটি ব্রিজের উন্নয়নসহ সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ দুই বছর আগে শুরু করে। লক্ষীছরা ব্রিজের নির্মাণ কাজ দুই বছরেও শেষ হয়নি। ছরার পানি অপসারণ না করে ব্রীজ নির্মাণ শুরু করায় একটি বছর পুরো বর্ষায় জনদুর্ভোগের সীমা ছিল না। এরপর এলাকাবাসীর তোপের মুখে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে। বর্তমানে করেরহাটের পাহাড় থেকে শুরু করে কৃষি জমির টপসয়েল এনে চলছে সড়ক প্রশস্ত করার কাজ। অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন কারোরই অনুমতি নেই। স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কয়েকটি মাটিখেকো সিন্ডিকেট করেরহাটের ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন নাহারের উত্তর পাশের টিলা, সালেক কোম্পানির ইটের ভাটার কাছের মাঠ থেকে জমির টপসয়েল, কেউ কেউ অলিনগর এলাকার পাহাড়ের মাটি কেটে সরবরাহ করছে। পাহাড় কেন কাটছেন জানতে চাইলে সিন্ডিকেটের সদস্যরা বলেন, সড়কের ঠিকাদার কন্ট্রাক্ট নিয়েছেন। ওরাই আমাদেরকে নিয়ে যেতে বলেছেন। এ বিষয়ে সিপিসিএলের মাঠ প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা তো প্রভাবশালী দেখে মাটির কন্ট্রাক্ট দিয়েছি। ওরা ওদের প্রভাব খাটিয়ে যেখান থেকে আনবে আনুক। সিপিসিএলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান চুন্নু এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। সড়ক ও জনপথের উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ বলেন, পাহাড় বা কৃষি জমির টপসয়েল কাটার অনুমতি আমরা দিইনি। মীরসরাইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও মিনহাজুর রহমান বলেন, এই বিষয়ে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করব।
উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘বারইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প ৮৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকায় শুরু হয়েছে গত বছরের শুরুতে। আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ। তবে দুটি ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে এক বছর আগে। প্রকল্পটিতে সরকার দেবে ২৬৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং ভারত ঋণ দেবে ৫৮১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এই সড়ক ভারতের সঙ্গে ত্রিপুরা হয়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সংযোগের কাজ করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোবাইল ফোনে আলাপ সারছেন বন্দীরা, ২৫ বুথ স্থাপন
পরবর্তী নিবন্ধমামুনুলহকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২৭ মে