খুলশীতে সরকারি মহিলা কলেজে ক্যাম্পাস ভবন নির্মাণে পাহাড় কাটার অভিযোগে ঠিকাদার, সাব ঠিকাদার ও দুই শ্রমিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মনির হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, ঠিকাদার মেসার্স মহসিন এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্তাধিকারী মো. মহসিন হায়দার, সাব ঠিকাদার মো. শফিক, শ্রমিক আকতার হোসেন ও মো. রাছেল। সাব ঠিকাদার মো. শফিক নোয়াখালী মাইজদী সদরের মাহমুদ ভূঁইয়ার ছেলে। অন্যদিকে এক শ্রমিকের বাড়ি সুনামগঞ্জ, অন্যদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। দুই শ্রমিককেই ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শন টিম। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পাহাড় কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটরও জব্দ করা হয়।
খুলশী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘সরকারি মহিলা কলেজে পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের অভিযোগে ঠিকাদার, সাব ঠিকাদার ও দুই শ্রমিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুই শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। পাহাড় কাটার কাজে ব্যবহৃত স্কেভেটরটি জব্ধ করা হয়েছে।’পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে নাছিরাবাদ মহিলা কলেজের ৫ তলা ক্যাম্পাস ভবন নির্মাণ করছে মেসার্স মহসিন এন্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এর আগে ঘটনাস্থলে এনফোর্সমেন্ট করে পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গত ১৯ আগস্ট এনফোর্সমেন্ট মামলা হয়। ওইসময় অভিযুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ৩শ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ‘পাহাড় কর্তন হবে না’ মর্মে অঙ্গীকারনামা দেয়া হয়। এরপরেও পাহাড় কাটার অভিযোগ পেয়ে পুনরায় এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করে শুক্রবার বিকেলে একটি স্ক্যাভেটর জব্দ করে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম। এসময় দুই শ্রমিককে আটক করেন টিমের সদস্যরা। পরে চারজনের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক নূরুল্লাহ নূরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘সরকারি মহিলা কলেজে ভবন নির্মাণে পাহাড় কাটার অভিযোগ পাওয়ায় আমরা গত আগস্ট মাসে এনফোর্সমেন্ট চালিয়েছিলাম। তখন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আর পাহাড় কাটবে না মর্মে অঙ্গীকারনামা দেওয়ায় তাদের সতর্ক করে অভিযোগের দায় থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তারা অঙ্গীকারনামার শর্ত ভঙ্গ করে পাহাড় কাটায় আবারো অভিযান চালানো হয়েছে। পাহাড় কাটার সময় হাতেনাতে একটি স্ক্যাভেটর জব্দ করা হয়েছে। ওখানে প্রায় ৪ হাজার বর্গফুট পাহাড় কাটা হয়েছে। এ বিষয়ে খুলশী থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে।’












