মীরসরাই উপজেলার বৃহৎ অংশে রয়েছে পাহাড়ি এলাকা। কোথাও রয়েছে খনিজ বালি সম্পদ, পাশাপাশি বনজ সম্পদ। শত বাধায় ও সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে থেমে নেই করেরহাটের কয়লা এলাকায় পাহাড় কাটা। কখনো দিনে, কখনো রাতে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। প্রতি বছর করেরহাটের কয়লা ঝিলতলি এলাকার ছরা থেকে বালি উত্তোলনের জন্য সরকার ইজারা দেয়। চলতি মৌসুমে ইজারা না হওয়ায় সেখানে বালি তোলা অব্যাহত থাকায় মীরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন গত রমজানে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয় বালি উত্তোলন। উক্ত এলাকায় এবার শুরু হয়েছে পাহাড় কাটা। সরেজমিন দেখা যায়- ঝিলতলি, কয়লা ও সোনাইছড়ির বিভিন্ন বাড়িঘরের পাশের পাহাড়গুলো কিছু সিন্ডিকেট কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। দিনে কারো চোখে পড়বে বলে রাতেই কাটছে এসব পাহাড়। এসময় এলাকার বিভিন্ন বাড়ির ভেতরে ঘরের ভিটের অংশ রেখে বাকি সবটুকু পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে, কোথাও ঘরও নেই পুরো পাহাড় সাবাড় করে নিচ্ছে। আবার কোথাও বসতি সৃজন করে অন্য পাশ দিয়ে রাস্তা করার সুযোগ থাকলেও ইচ্ছে করেই পাহাড় কেটে রাস্তা করে সেই মাটি বিক্রি করছে সিন্টিকেটের কাছে। নানা অজুহাতে একের পর এক পাহাড় সাবাড় করতেই দেখা গেছে ঝিলতলি ও কয়লা গ্রামে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, করেরহাট বন বিভাগ গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে মাটি কেটে নিয়ে যাবার সময় ট্রাক নং ঢাকা মেট্রো-ড-১২- ০৫৩৮ আটক করে। এ বিষয়ে করেরহাট রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক জামিল খান বলেন- ট্রাকটি আমাদের স্টেশন গেটে আটক করা হয়েছে, পাহাড় কাটা নিয়ে শীঘ্রই আরো অভিযান পরিচালিত হবে। উক্ত কয়লা এলাকার ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন মেম্বার বলেন- কিছু যুবক এসব অপকর্ম করছে বলে জেনেছি, প্রশাসন তৎপর হলে এটা বন্ধ হয়ে যাবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমান বলেন- উক্ত এলাকায় অভিযান করে মাটি কাটা বন্ধ করেছি, অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ দন্ডনীয় ও গুরুতর অপরাধ এই বিষয়ে ছাড় দেয়া হবে বলেন তিনি।












