পাহাড় কেটে একে একে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। কিছু ক্ষেত্রে পরিবেশের ক্ষতির তোয়াক্কা না করে পাহাড়ের পাদদেশে গাইড ওয়ালের অনুমতিও দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটির অফিস থাকলেও রহস্যজনক কারণে ঢাকা থেকেই এসব অনুমতি নিয়েছেন ভবন নির্মাণকারীদের একজন। এ ধরনের একটি বিষয়ে পরিবেশ ছাড়পত্র না নিয়ে ভবন নির্মাণ করায় সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মো. হিরণকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মো. নূরুল্লাহ নূরী। গতকাল বুধবার এক শুনানিতে হিরণকে এ জরিমানা করা হয়।
নগরীর খুলশী থানাধীন দক্ষিণ পাহাড়তলী মৌজার দক্ষিণ খুলশীতে ভিআইপি হাউজিং এলাকায় ভবনটি নির্মাণ করেন সাবেক এই কাউন্সিলর। একই দিন পৃথক শুনানিতে আরো তিন ব্যক্তিকে ৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে, প্রায় সকলেই সমাজের অভিজাত শ্রেণির।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খুলশী থানাধীন ভিআইপি হাউজিংয়ে ৩৭০ ফুট পাহাড় কর্তনের দায়ে একে খান কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক নুর উদ্দিন চৌধুরীকে ৯২ হাজার ৫শ টাকা, একই এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে সৈয়দ কুদরত-ই-খোদাকে ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা, শাহনাজ হায়দার চৌধুরীকে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়। আগামী ৭ দিনের মধ্যে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জরিমানার টাকা জমা প্রদানে নির্দেশনা দেওয়া হয় আদেশে।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মো. নূরুল্লাহ নূরী বলেন, খুলশীতে অভিজাত শ্রেণির লোকজন বসবাস করেন। বুধবার যাদের জরিমানা করা হয়েছে তারা সকলেই খুলশী ভিআইপি হাউজিংয়ে পাহাড় কেটে ভবন তৈরি করেছেন। তিনজনকে পাহাড় কাটার জন্য জরিমানা করা হলেও সাবেক কাউন্সিলর হিরণকে পরিবেশ ছাড়পত্র না নিয়ে ভবন তৈরি করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গাইড ওয়াল করার অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এনফোর্সমেন্টে গেলে হিরণ সাহেব গাউড ওয়াল করার পরিবেশের অনুমতির কাগজ দেখিয়েছেন। এটি উনি ঢাকা থেকে নিয়েছেন।