পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেছেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। চুক্তি যদি যথাযথ বাস্তবায়িত হয়, তাহলে পার্বত্যাঞ্চলের বুকে মানুষের মন প্রাণ উজ্জীবিত হবে নতুন করে। বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রান উপলক্ষে গতকাল সোমবার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, অঞ্জলিকা খীসা, শিশির চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক সভাপতি অ্যাড. ভবতোষ দেওয়ান, সুজন সাধারণ সম্পাদক এম জিসান বখতেয়ার উদ্দিন, ঐক্য পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক পলাশ কুসুম চাকমা প্রমূখ।
এদিকে গতকাল সোমবার শোভাযাত্রায় বিভিন্ন নৃ–গোষ্ঠীর তরুণ–তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে তাদের নিজ নিজ সংস্কৃতি তুলে ধরেন। এই শোভাযাত্রা থেকে তারা বৈসাবির শুভেচ্ছা সবার মাঝে পৌঁছে দেন। উৎসবে নৃ–গোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে বিভিন্ন ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে উপস্থিত হন অংশগ্রহণকারীরা।
রাঙামাটি পৌরসভার সামনে থেকে র্যালি বের করা হয়। এতে ক্ষুদ্র নৃ–জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রদায় তাঁদের সুসজ্জিত পোশাক পড়ে অংশ নেন। র্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চিংহ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। আগামী ১২ এপ্রিল ফুল বিঝু ১৩ এপ্রিল মূল বিজু এবং ১৪ এপ্রিল গজ্যাপজ্যা দিন অর্থাৎ বছরের প্রথম দিন।












