পার্বত্য অঞ্চলে জঙ্গিদের খোঁজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। গতকাল ঢাকার কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, দুর্গম পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গি সংগঠনের আমিরসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নাম পাওয়া গেছে। তবে তাদের বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা যায়নি। খবর বিডিনিউজের।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন ব্যক্তির টাকায় এ সংগঠন (জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া) চলছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি।
এর আগে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নিখোঁজদের গ্রেপ্তারের পর জঙ্গিদের নতুন এ দল জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার নাম জানায় র্যাব। এ সংগঠনের সঙ্গে পাহাড়ি যোগের তথ্যও সামনে আনে পুলিশের বিশেষ এ ইউনিট।
এর আগে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তথাকথিত ‘হিজরতের’ নামে ঘর ছাড়া ৩৮ তরুণের তালিকা প্রকাশ করেছিল র্যাব। নতুন করে আরও ১৭ জনের তালিকা প্রকাশের কথা জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তা কমান্ডার মঈন। তিনি বলেন, দুর্গম পাহাড়ে গিয়ে সমতলের জঙ্গিরা একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের ছত্রছায়ায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়া কয়েকজন তরুণের বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে সমপ্রতি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে নতুন এক জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পায় র্যাব।
বৃহস্পতিবার বান্দরবান ও রাঙামাটিতে অভিযান চালিয়ে তিন পাহাড়ি ও জঙ্গি সংগঠনটির সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।