পাহাড়ি অঞ্চলে আদা চাষে সাফল্য

বাঁশখালী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৫ নভেম্বর, ২০২১ at ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর পাহাড়ি এলাকা পুকুরিয়া, সাধনপুর, জঙ্গল গুনাগরী, বৈলছড়ি, জঙ্গল পাইরাং, জঙ্গল জলদী, পূর্ব শীলকূপ, পূর্ব চাম্বল, পূর্ব নাপোড়া প্রভৃতি পাহাড়ি এলাকায় চলতি বছর আদার ভালো ফলন হয়েছে। বাঁশখালী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানায়, বাঁশখালীতে চলতি বছর প্রায় ৭৫ হেক্টর জমিতে আদার চাষ হয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ভাল থাকায় এ বছর আশানুরূপ ফলনও পাচ্ছেন বলে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানান আদা চাষিরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অপেক্ষাকৃত উঁচু ও পতিত জমিতে আদা চাষে ভাল ফলন পাওয়া যায়। সাধারণত হেক্টরপ্রতি ১৩ থেকে ১৫ মেট্রিক টন আদা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকে। ফলন ভালো হওয়ায় চলতি বছর সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চাষিরা জানান, মার্চ-এপ্রিল মাসের দিকে তারা আদার বীজ রোপণ করেছেন। পাহাড়ের উঁচু জমিতে ও বিভিন্ন গাছ বাগানের ছায়াযুক্ত স্থানে আদার চারা লাগিয়ে ভালো ফলন হয়েছে এ বছর। এ ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিসাররা সবধরনের পরামর্শ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চলতি নভেম্বর-ডিসেম্বর দিকে ফলন তোলা শুরু হয়েছে। আদা চাষিরা জানান, উৎপাদন খরচ হিসেবে প্রতি কানি জমিতে আদা ও শ্রমিকসহ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ভালোমতো ফলন হলে কানিপ্রতি ব্যয় বাদে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভবান হওয়া সম্ভব। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর লাভের সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সালেক বলেন, বাঁশখালী সকল ধরনের সবজি উৎপাদনের জন্য একটি উৎকৃষ্ট এলাকা। এখানে আদা চাষিরা সফল হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কৃষকদের আদা চাষের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। এবছর ৭৫ হেক্টর জমিতে আদার চাষ হয়েছে। ফলন তুলার এ সময়ে গুবড়ি পোকার আক্রমণ না হলে চাষিদের ভালো লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাস্টমস কর্মকর্তাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পরবর্তী নিবন্ধসহিংসতা রোধে কঠোর হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী