সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের আটটি চাকা গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় কুমিল্লার রসুলপুর স্টেশন এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। এতে করে ট্রেনটি ওই স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ আটকা পড়ে। আটটি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ায় এটির উদ্ধার কাজে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম স্টেশন মাস্টার ও রসুলপুর স্টেশন মাস্টার।
একই দিন চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী মহানগর গোধূলি এক্সপ্রেস ট্রেনটিও সন্ধ্যায় কুমিল্লার লালমাই রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এতে পাহাড়িকা ও গোধূলি দুই ট্রেনই একসময় আটকা পড়ে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম স্টেশন মাস্টার আবু জাফর মজুমদার বলেন, লাকসাম থেকে রেলওয়ের উদ্ধারকারী একটি ট্রেন গিয়ে গোধূলির ইঞ্জিন সচল করলে সেটি আবার যাত্রা শুরু করে ঢাকায় চলে গেছে। তিনি জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি উদ্ধার কাজ শেষে চট্টগ্রাম পৌঁছতে রাত ২টা বাজবে। এরপর এটি উদয়ন হিসেবে সিলেটে ছেড়ে যাবে। এটি সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন আসার কথা। রাত ৯টা ১০ মিনিটে উদয়ন হিসেবে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
রসুলপুর স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার নাহিদ উদ্দিন জানান, বিকাল সাড়ে ৫টায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী ৭২০ ডাউন পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের লোকো নম্বর ২৬০৮ কুমিল্লার রসুলপুর স্টেশনে প্রবেশের সময় আটটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। তবে এটি লুপ লাইনে হওয়ায় মূল রেলপথে ট্রেন চলাচলে বড় কোনো সমস্যা হয়নি। আপাতত ওই লাইনে অন্য কোনো ট্রেন নেই। একই দিন চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী মহানগর গোধূলি এক্সপ্রেস ট্রেনটিও সন্ধ্যায় কুমিল্লার লালমাই রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। সেটি আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।