নগরীর পাহাড়তলী স্টেশনের কাছে চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে চাঁদপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। ৭টা ৫৫ মিনিটে ট্রেনটি পাহাড়তলী স্টেশন পার হয়ে যেতেই দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে মাস্টার রাকিবুল ইসলাম ও পয়েসম্যান আবদুল কাইয়ুম ভূঁইয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশগুপ্তকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশগুপ্ত আজাদীকে বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পয়েসম্যান এবং মাস্টারের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ৮টায় রিলিফ ট্রেন কল করেছি। ৯টা ৪০ মিনিটে সেকেন্ড ক্লাস বগিটা উদ্ধার করেছি। সাড়ে ১০টায় ইঞ্জিনের পেছনের অংশ এবং সাড়ে ১১টায় ইঞ্জিনের সামনের অংশ উদ্ধার করেছি। তবে ডাবল লাইনের কারণে এই দুর্ঘটনার পরও ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল না। সব ট্রেনই ছেড়ে গেছে সামান্য বিলম্বে। এদিন পাহাড়িকা ছেড়ে গেছে ৪০ মিনিট দেরিতে, চট্টলা ছেড়ে গেছে ২৫ মিনিট দেরিতে, র্কণফুলী ছেড়ে গেছে ২০ মিনিট দেরিতে এবং দুর্ঘটনা কবলিত সাগরিকা ১ ঘণ্টা ২৮ মিনিট দেরিতে ছেড়ে গেছে ৮টি বগি নিয়ে। ক্ষতিগ্রস্ত ৪০৮ নম্বর বগিটা আর যায়নি।