পাহাড়তলীতে রেলের জায়গা থেকে ৫০০ বসতি উচ্ছেদ

বন্দর এলাকায় সড়কে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ২০টি টং দোকান

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ

নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় জোড় ডেবার প্রায় ২১.৪৮ একরের জলাশয়ের আশপাশজুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে রেলওয়ে। এ অভিযানে জলাশয়ের চারপাশ জুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও অক্ষত থাকবে ডেবার পশ্চিম পাশে থাকা অবস্থিত মসজিদটি, এমনটাই জানালেন রেলওয়ের বিভাগীয় এস্টেট অফিসার মাহবুব উল করিম। তিনি আজাদীকে বলেন, রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ উচ্ছেদ অভিযান চলবে আরও একদিন। এতে উচ্ছেদ করা হবে ডোবাটির আশপাশ জুড়ে গড়ে ওঠা এক হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা। রেলওয়ের জরিপ অনুযায়ী, পাহাড়তলী বাজার সংলগ্ন ওই বস্তিতে রয়েছে অন্তত ১২০০ ঘর। এদের মধ্যে উচ্ছেদের প্রথম দিনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রায় ৫০০ এর বেশি ঝুপড়ি ঘর, টিনশেড দোকান এবং সেমিপাকা ঘর। রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুব উল করিমের নেতৃত্বে শুরু হওয়া টানা দুদিনের এ উচ্ছেদ অভিযানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ (আরএনবি) রেলওয়ের কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট রেলওয়ের জায়গা দখল করে আধাপাকা ও টিনশেড বাড়ি নির্মাণ করে সেখানে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলে। তারা এসব স্থাপনা ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের টাকা ও মাদকদ্রব্য বিক্রির নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। এমন অভিযোগ পেয়ে গতকাল রোববার অভিযান পরিচালনা করে রেলওয়ে।
এদিকে উচ্ছেদ হওয়া ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে, তাদের আগে নোটিশ দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম জানান, এখানে ইজারা দেওয়া হয়েছে জলাশয়টি (জোড় ডেবাটি)। আমরা সেটি উচ্ছেদ করছি না। তার চারপাশজুড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছি। নোটিশ সেক্ষেত্রে দেয়া হয় যখন জমি ইজারায় থাকে। তবুও উচ্ছেদের বিষয়টি আগেই বাসিন্দাদের বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে রাস্তার জায়গা দখল করে ব্যবসা পরিচালনার দায়ে ৮ ব্যক্তিকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় রাস্তায় অবৈধভাবে নির্মিত ২০টি টং দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
গতকাল রোববার সকালে নগরীর বন্দর থানাধীন ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া, ইশান মিস্ত্রী হাট এবং ডবলমুরিং থানাধীন দেওয়ানহাট পোর্টসিটি কমপ্লেঙের সামনে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। চসিকের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর নেতৃত্বে অভিযানে কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিএমপি পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাইক্ষ্যংছড়িতে অস্ত্রসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আটক
পরবর্তী নিবন্ধপ্রবাসীদের মরদেহ বিনামূল্যে বহনে সংসদীয় কমিটি উদ্যোগ নেবে