নগরীর পাহাড়তলীতে চাঞ্চল্যকর মোটর মেকানিক মো. ফরিদ (৪৫) হত্যার ঘটনায় পরিবারের করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দিদারুল আলম ওরফে টেডি (৩৫) ও হৃদয় ওরফে চেরাগ আলী (২৮)।
নিহত ফরিদের বোন রাশেদা আক্তার গত রোববার রাতে ডবলমুরিং থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। এজাহারে নাম থাকা আসামিরা হলেন আলাউদ্দিন আলো, দিদারুল আলম ওরফে টেডি দিদার, মো. শাহজাহান, আলাউদ্দিন ওরফে মনা, হৃদয় ওরফে চেরাগ আলী, আলী আজগর লেদা, মো. সোহাগ, মো. ফেরদৌস, মো. সালাউদ্দিন, মো. আল আমীন, ও নাজিম উদ্দিন রাশেদ। অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫- ১৬ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ডবলমুরিং থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, ১১ আসামির মধ্যে দিদার ছাড়াও মনা, ফেরদৌস, আল আমীন ও রাশেদ সাবেক যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলারও আসামি।
পুলিশ জানায়, নিহত মো. ফরিদ পাহাড়তলী বাজারে একটি কার ওয়াশের দোকান দিয়েছিলেন। দোকানটি রেলের জায়গায় ওপর স্থাপন করা হয়েছে দাবি করে বিরোধী পক্ষ ফরিদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। তারা চাঁদা চাওয়ায় ফরিদ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হুমকি দিয়েছিল। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মামলার আসামিরা শনিবার রাতে পাহাড়তলী রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের কাছে ফরিদকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এবং ছুরিকাঘাত করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভাড়ার টাকা আদায় নিয়ে আলো ও টেডি দিদারের সাথে ফরিদের বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের কারণে বিভিন্ন সময়ে টাকা দাবি করছিল আসামিরা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে বিভিন্ন সময়ে ফরিদকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল তারা। এরপর ফরিদের ওপর পরিকল্পিত হামলা করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারে সাবেক যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে পিটিয়ে হত্যা মামলার ৫ আসামিকে এখন ফরিদ হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, রেলের জায়গা ‘বরাদ্দ নিয়ে’ সেখানে দোকান ও ঘর নির্মাণ করায় ফরিদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করা হচ্ছিল। টাকা না দেওয়ায় এবং আদালতে মামলা করতে চাওয়ায় তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়। নিহত ফরিদ এবং তার উপর হামলকারীরা সবাই স্থানীয় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত বলে পুলিশকে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন।