বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারায় আছে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রয়োজনে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে।
গতকাল বুধবার বিকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ২৭ তারিখ থেকে চোখে ঘুম থাকবে না। প্রয়োজনে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে। যেখানে আমার অস্তিত্বের প্রশ্ন সেখানে ঘুম দিয়ে কি করব। বারে বারে না, এবারই এদের চিরতরে পরাজিত করতে হবে। খবর বিডিনিউজের।
বিএনপি মহাসমাবেশ ঘিরে সতর্ক থাকার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আক্রমণ করব না, এই পর্যন্ত করি নাই। এইবার আমরা সর্তক পাহারা আছি, আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ হবে। …কেন ছাড়ব, কাদের ছাড়ব? এরা (বিএনপি) ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশ গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গিলে খাবে। তাদের অপশক্তিকে একসাথে রুখতে হবে। বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনুমতি না দিলে তারা নাকি অলিগলি দখল করবে। তাহলে নাকি সব দরজা খুলে যাবে স্বাগত জানাতে। এবার আটঘাট বেঁধে নেমিছি, দেখব কোন অলিগলিতে অবস্থান নেবেন। বিএনপির নাশকতার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবার আটঘাট বেধে নেমেছে। আক্রমণ হলে পাল্টা আক্রমণ। অলিগলি থেকেও পালাবার পথ পাবে না বিএনপি।
কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন তারা নাকি নেতাকর্মীদের আসতে বলেননি। ফখরুলের নরম কথায় বিশ্বাস করবেন না। তারা বিশ্বাসঘাতক। যাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর সাথে, জাতীয় নেতাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাদেরকে আর বিশ্বাস করা যায় না।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব–উল আলম হানিফ, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল প্রমুখ।