বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সবার জন্য মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতসহ যে বাংলাদেশে পাহাড় এবং সমতলের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকবে না; আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় রাঙামাটির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘দুনীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র–নাগরিক মতবিনিময় সভায়’ তিনি একথা বলেন।
হাসনাত বলেন, রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির রাজনৈতিকরণ করা হচ্ছে। আমরা যেভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে একসাথে ছিলাম; ঠিক একইভাবে রাষ্ট্রপুনর্গঠনের আন্দোলনে সবাইকে একসাথে থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় আমাদের যেসব ভাইয়েরা বুক পেতে দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের মূল্য দিতে হলেও আমাদের সবাইকে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাহাড়ে প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষার গুণগত মান ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। পাহাড়ের প্রান্তিক পর্যায়ের যেসব শিক্ষার্থীরা রয়েছে তাদের শিক্ষার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে দিয়ে পাহাড় ও সমতলে একই গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব। ঢাকার শিক্ষার্থীরা যে ধরনের শিক্ষার সুযোগ পাবে ঠিক একইভাবে পাহাড়ের প্রান্তিক পর্যায়ে পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থী একই শিক্ষার সুযোগ পাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা খবর পেয়েছি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেকে চিকিৎসা করাতে সিঙ্গাপুর যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা সিঙ্গাপুরের মতো নিশ্চিত না করে আপনারা নিজেরা যদি সিঙ্গাপুর যেতে চান তাহলে এ সরকারে থাকার নৈতিক অবস্থা আপনারা হারিয়ে ফেলবেন। এই সরকারে থাকতে হলে সিঙ্গাপুর গিয়ে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা না নিয়ে সিঙ্গাপুরের মতো চিকিৎসা ব্যবস্থা বাংলাদেশের নিশ্চিত করার আহ্বান জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।
সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জনমত গঠনের অংশ হিসেবে রাঙামাটিতে সফরে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
