পাহাড় ধসের কারণ, প্রতিরোধ ও করণীয় উঠে এল গবেষণায়

প্রতিবেদন উপস্থাপন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৭ মার্চ, ২০২৫ at ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে পাহাড় ধসে ১৯৭০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৭৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড় ধসে। এই অঞ্চলে পাহাড়ি মাটির বৈশিষ্ট্য হলো নরম প্রকৃতির এবং মাটির ধরন হচ্ছে বেলেমাটি। বৃষ্টিপাতের সাথে এখানকার পাহাড়গুলোর বেলেমাটি দুর্বল হয়ে ধসে পড়ে। এছাড়া প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে এ অঞ্চলে পাহাড়ধস নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবসৃষ্ট কারণের মধ্যে পাহাড় কাটা ও বনের গাছপালা কেটে ফেলা, দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা, অপরিকল্পিত বসতি, রাস্তা নির্মাণ, কৃষিকাজ অন্যতম।

পাহাড় ধসের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে ম্যাপিং নিয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। গতকাল রোববার নগরের একটি রেস্টুরেন্টে জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিসের ( জিএফএফও) অর্থায়নে, সেভ দ্য চিলড্রেনেরর সহায়তায় ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) বাস্তবায়িত ভূমিধসের আগাম পদক্ষেপ শক্তিশালীকরণে যুব নেতৃত্ব শীর্ষক সংলাপে এ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল সরোয়ার।

তিনি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করতে গিয়ে পাহাড় ধসের সাধারণ ধারণা, বাংলাদেশে পাহাড় ধসের ক্ষয়ক্ষতির ইতিহাস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের ভূমিকা, প্রযুক্তিগত পদ্ধতি ব্যবহার করে পাহাড় ধসের ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, পাহাড় ধস প্রতিরোধে করণীয় ব্যবস্থা এবং দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতিমূলক করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন।

ইপসা প্রকল্পের আওতায় ড. ইকবাল সরোয়ার তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থী গবেষণায় অংশ নেন। সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইপসার পরিচালক নাছিম বানু। বক্তব্য রাখেন প্রজেক্ট ম্যানেজার সানজিদা আক্তার, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাজ সুলতানা, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাদিকা সুলতানা, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসরিন আক্তার, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক শাহজালাল মিশুক, সৌরভ দাশ, আবহাওয়া বিজ্ঞানী উজ্জ্বল কান্তি পাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কিশোয়ার জাহান, . প্রবাল বড়ুয়া, রিচার্স ফেলো জান্নাতুল ফিরদাউচ, সাইফুল ইসলাম, সৌমেন ব্যানার্জি, রয়ান জন্নাত, মো. দেলোয়ার হোসেন, মু. মুজিবুর রহমান, মু. তোফায়েল আহমেদ, কল্যাণ মোরশেদ হাসান ও মুহাম্মদ আতাউল হাকিম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘সোনালী ব্যাংক শুধু ব্যবসা নয়, দেশের অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখবে’
পরবর্তী নিবন্ধক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার ও অনুদান বিতরণ