পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় উপজেলা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর।
পাহাড় কর্তনের মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রতিবেশ ক্ষতিসাধন করায় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এনফোর্সমেন্ট মামলার এই রায় প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার (০৬ মে) পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বান্দরবানের লামায় সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজার ০৮ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃক পাহাড় কর্তনে কারণে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয় কর্তৃক ০৬ মে ২০২৫ খ্রি. তারিখে সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজার ০৮ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃক পাহাড় কর্তনের মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রতিবেশ ক্ষতিসাধন করায় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত- ২০১০) এর ধারা- ৭ এর আলোকে ১৬,০০,০০০/- (ষোল লাখ) টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে লামা প্রকল্প পরিচালক রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিরেক্টর ও রাবার গার্ডেন অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন দৈনিক আজাদী’কে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের এমন রায়ে আমরা মর্মাহত। দ্রুতই এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। সেখানে পাহাড় কাটার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজায় যেখানে আমরা রাবার বাগান করেছি তা পরিবেশ রক্ষার জন্য করেছি। রাবার বাগান করার জন্য সেখানে পরিবেশ তৈরি করা হয়েছ। সঠিক বিচার না পেলে আমরা রাবার উৎপাদন বন্ধ করে অন্য কিছু করবো।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয় সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম দৈনিক আজাদী’কে বলেন, পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ জানার পরও অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ( সংশোধিত -২০১০) এর ৭ নং ধারা মোতাবেক তাকে সরই রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। ভবিষ্যৎতেও জনস্বার্থে এ ধরনে অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরিবেশ সংরক্ষণ ও পাহাড় রক্ষায় বান্দরবান জেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতিতে অটুট রয়েছে। পাহাড় কাটলেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।