অবশেষে আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় কাটার ঘটনায় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সীতাকুণ্ড থানায় গতকাল এই মামলাটি রেকর্ড করা হয়। সূত্র জানিয়েছে, আকবর শাহ থানাধীন শাপলা আবাসিক এলাকার লইট্টা গোনা নামক স্থানে প্রায় একশ’ ফুট উঁচু একটি পাহাড়ের অর্ধেকের বেশি কেটে ফেলা হয়েছে। গত বেশ কিছুদিন ধরে রাতে দিনে পাহাড় কাটা হলেও প্রশাসন নির্বিকার ছিল। দৈনিক আজাদী গত ৭ নভেম্বর “একশ ফুট উঁচু পাহাড়, কাটা হয়েছে অর্ধেকের বেশি, পাহাড়ে ধস নামাতে মোটর লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে পানি, নগরীর আকবরশাহ’র শাপলা আবাসিক এলাকা” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে সকলের। ৭ নভেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কিন্তু ঘটনাস্থল নগরীর বাইরে জেলার সীতাকুণ্ড থানাধীন জঙ্গল সলিমপুর মৌজাতে হওয়ায় মামলা সীতাকুণ্ড থানায় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গতকাল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। এই সময় চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্চ অফিসার মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, উপজেলার জঙ্গল লতিফপুর মৌজার বিএস ১১৮ দাগে পাহাড় কাটা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিক্তিতে অভিযান পরিচালনা করলে দেখা যায়, প্রায় ৯০ ডিগ্রি খাড়া পাহাড় কেটে বিক্রি করছে তিন ব্যক্তি। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জঙ্গল লতিফপুর মৌজার বিএস ১১৮ দাগে ১.৪২ একর টিলা শ্রেণির ভূমি কেটে বিক্রি করছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী একটি জায়গায় বাড়ি নির্মাণে পাহাড় কেটে ভিটা বানাচ্ছে। পাহাড় কাটার পাশাপাশি পাহাড়ে ধস সৃষ্টির জন্য মোটর লাগিয়ে পানি দেওয়া হচ্ছে। এসময় অভিযানকালে পানি দেয়ার মোটর জব্দ করলেও ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
পাহাড় কাটার দায়ে উপজেলার লতিফপুর এলাকার সৈয়দ আবু তাহের আলীর ছেলে সৈয়দ মো. আবদুল মালেক, জঙ্গল সলিমপুর এলাকার মো. ইয়াসিনের ছেলে মো. মানিক, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার মো. রফিকের ছেলে মো. রিয়াদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা হয়েছে।