তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন। গতকাল শনিবার সকালে রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি জেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক হিরা চাকমার সভাপতিত্বে ও পিসিপির জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক অন্তর চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উলিচিং মারমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষ সর্বহারা উদ্বাস্তু, সে জায়গায় পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় তিনটি ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা সত্যিই নিন্দনীয়। সামপ্রতিক সময়ে ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদেরও প্রত্যাশা বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের। অতীতের ন্যায় ধর্ষকদের সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে। ঘটে যাওয়া তিনটি ঘটনা প্রমাণ করে আজও জুম্মু নারীরা নিরাপদ নয়। সমাবেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারীদের নিরাপত্তা এবং জনমানুষের নিরাপত্তা ও স্থায়ী শান্তির জন্য পার্বত্য চুক্তি বাস্তায়নের দাবি জানান বক্তারা।
এর আগে, সকালে জেলা শহরের কুমার সুমিত রায় জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরূপা প্রদক্ষিণ করে জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সমাবেশ করে।
প্রসঙ্গত, দেশের বন্যার পরিস্থিতির মধ্যেই খাগড়াছড়ি রামগড়ে এক পাহাড়ি নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, রাঙামাটির বনরূপায় দ্বিতীয় শ্রেণীর এক পাহাড়ি ছাত্রী ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে বিচার দাবি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এই সমাবেশ করে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের সহযোগী সংগঠন দু’টি।