‘বন বনানী সংরক্ষণ, খাদ্যের জন্য প্রয়োজন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার এ উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। বক্তব্য রাখেন রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিরা নূর, কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান, রাঙামাটি ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিদ্যুৎ শংকর ত্রিপুরা, জেলা স্কাউটের কমিশনার নুরুল আবছারসহ অনেকে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) বন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নিখিল চাকমা।
এসময় বক্তারা বলেন, বন হচ্ছে খাদ্যের একটা উৎস। বন থেকে মানুষ খাদ্য, প্রয়োজনীয় উপাদান পান। গ্রামাঞ্চলের অনেক মানুষই বনের উপর নির্ভরশীল। পার্বত্য চট্টগ্রামে যদি বন না থাকে তাহলে স্থানীয়রা ঠিক মতো খাদ্য পাবে না, নিউট্রেশন পাবে না। পার্বত্য চট্টগ্রামের বন আয়ের উৎসও। এখানে অনেকেই ট্রেডিশনাল ওষুধের উপর নির্ভরশীল।এখানে বন না থাকলে এসব ওষুধ পাওয়া যেতো না। ঝিরি–ঝর্না থেকে পানি পাবে না। পার্বত্য চট্টগ্রামের ৬৪ শতাংশ মানুষ বনের উপর নির্ভরশীল। বন থেকেই প্রতি পরিবার প্রতি বছর ২১ হাজার টাকা বাৎসরিক আয় করেন। বক্তারা আরও বলেন, একটা বন নষ্ট হলে সেটাকে ফেরত আনতে একশ বছর লাগে। বন থাকলে কাপ্তাই লেকে পানি থাকবে। বন না থাকলে রাঙামাটি ছাড়াও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াসহ অন্যান্য এলাকাগুলো পানির সোর্স পাবে না। আমরা আহ্বান করব, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেটুকু বন আছে, আমরা তা আর নষ্ট হতে দেব না। তাই বনের সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত তাদেরকে এই বিষয়গুলো জানাতে হবে।