পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা গোটা দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ভূমি। শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নয়। পৃথিবী জুড়েই দাঙ্গা–হাঙ্গামা গোলমাল তৈরি হয় ভূমি নিয়েই। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি জটিলতা নিরসনে গঠিত ভূমি কমিশন দ্রুত পুনর্গঠন করে কাজ শুরু করা হবে। এটি নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের অর্থনীতি অনেকটাই পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। এখন পর্যটনের মৌসুম, বান্দরবান জেলায় শতভাগ পর্যটন খুলে দেওয়ার বিষয়টি চিন্তা–ভাবনা করা হচ্ছে। যেহেতু এটি নিরাপত্তা বিষয়ক সমস্যা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নিরাপত্তায় নিয়োজিত সরকারের সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী আইনশৃঙ্খলা সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুলের দ্বিতল ভবনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত চারতলা প্রশাসনিক ভবনের ফলক উন্মোচন করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমি, পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইয়াছিন আরাফাত, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে উন্নয়ন কাজগুলো হচ্ছে, পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে এক কোটি টাকা ব্যয়ে কালেক্টরেট স্কুলের দ্বিতল ভবন এবং এলজিইডির অর্থায়নে ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা বিশিষ্ট সদর উপজেলা পরিষদ প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, প্রকৃতি ধ্বংসের কারণে বান্দরবান জেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে, পরিবেশ রক্ষায় পরিকল্পিত পরিবেশবান্ধব বনায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রকৃতিগতভাবে জন্মানো বন–জঙ্গলের গাছগুলো লাগাতে হবে, যে গাছের পানি ধরে রাখার সক্ষমতা রয়েছে।