কাপ্তাই–রাঙামাটি–ঝগড়াবিল সড়কটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কারণে সবাইকে আকৃষ্ট করে। দৃষ্টিনন্দন সর্পিল ও আঁকাবাঁকা সড়কটিতে সকল প্রকার যানবাহন চালাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন চালকরা। সড়কের একপাশে ছোটবড় অসংখ্য পাহাড় পর্বত। আরেক পাশে গভীর খাদ। অদুরে বিস্তীর্ণ বিশালাকার কাপ্তাই লেক। এই সড়কের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিন শত শত যানবাহনে হাজার হাজার পর্যটক কাপ্তাই আসছেন। এই পর্যটকদের সুবিধার্থে সড়কের বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। এসব রেস্টুরেন্টে খাবারের জন্য পর্যটকদের ভীড়ও লেগে থাকে। কিন্তু অনেক রেস্টুরেন্ট এমনভাবে নির্মিত হয়েছে যার দিকে তাকালেই ভয় অনুভূত হয়। পাহাড়ের গভীর খাদ থেকে কাঠের খুঁটি দিয়ে পিলার তৈরি করে নির্মিত হয়েছে একের পর এক রেস্টুরেন্ট। যেগুলো একেবারে ঝুঁকিপূর্ণ। এসব রেস্টুরেন্টে যখন অনেক পর্যটকের সমাগম হয় তখন চাপে এগুলো দুলতে থাকে। মনে হচ্ছে এই বুঝি ভেঙে পড়বে। আর একবার যদি ভেঙে পড়ে তাহলে গভীর খাদে গিয়ে পড়তে হবে। এরকম কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি হলে ভয়াবহ হতাহতের ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক সুশীল চাকমা বলেন, যেসব ট্যুরিস্ট কাপ্তাই আসেন গভীর খাদের উপর নির্মিত এসব রেস্টুরেন্টের অবস্থান সম্পর্কে তাদের জানা নেই। অনেকে রেস্টুরেন্টে হৈচৈ করে সময় কাটান। এর ফলে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকেই যায়। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই তিনি এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।