পাহাড়ি ঢল : এখনো ডুবে আছে খাগড়াছড়ির মেরুং

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | শনিবার , ২৪ আগস্ট, ২০২৪ at ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ

নিচু এলাকা হওয়ার কারণে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বেশির ভাগ এখনো পানিবন্দি। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে মেরুংয়ে একাধিক এলাকায় গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। মেরুং ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম ছদকা ছড়া। নৌপথে মেরুং বাজার থেকে যেতে সময় লাগে দেড় ঘন্টা। সেখানে গিয়ে এখনো অন্তত ৭ ফুট পানির নীচে ছদকাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গ্রামের অনেক ঘরবাড়ি এখনো পানির নীচে। বৃহস্পতিবার বিকেলে থেকে খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালা বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে পাহাড়ি ঢলের কারণে মেরুং ইউনিয়ন এখনো প্লাবিত।

ছদকাছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কার্বারি এপেকশন চাকমা বলেন, সোমবার থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এখনো গ্রাম থেকে পানি নেমে যায়নি। আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। বৃষ্টি না থাকলে পানি কমবে। এই নিয়ে আমরা চার দফায় বন্যার পানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। মেরুং ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সমীরণ চাকমা বলেন, আমার ওয়ার্ডের প্রায় ৭ গ্রাম এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে। সোমবার রাত থেকে তারা পানি বন্দি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার দুর্গম এলাকার পরিবারগুলোকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম ত্রিপুরা বলেন, পানি না কমায় মেরুং ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ বাড়ি ফিরতে পারিনি। বন্যায় অন্তত ৪০ গ্রাম এখনো পানিবন্দি। মেরুং বাজার এখনো পানিতে প্লাবিত। সবকটি আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। মেরুং ইউনিয়নের প্লাবিত অনেক গ্রামে মোবাইল সংযোগ নেই। গতকাল শুক্রবার সেসব দুর্গম এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশিদ বলেন, আজকে আমরা একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ দিয়েয়ে। যে সমস্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই তাদের পরিস্থিতি আমরা সরেজমিনে দেখেছি। দুর্গম এলাকায় দেড় শতাধিক পরিবারকে শুকনো খাবার, চাল, ডালসহ খাদ্য উপকরণ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি মেরুং ইউনিয়নে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। সড়ক থেকে পানি না নামায় খাগড়াছড়ির সাথে সাজেক ও লংগদুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বৃষ্টি না থাকায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্যায় চট্টগ্রামের ক্ষতিগ্রস্তরা পেলেন ২৭৫ টন চাল
পরবর্তী নিবন্ধবন্যায় ভেসে গেছে হাটহাজারীর ৮ শতাধিক পুকুরের মাছ