পাহাড়তলী হাজীক্যাম্পকে অতিসত্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় হজ্ব অফিস হিসেবে চালু করার দাবিতে গতকাল শনিবার নগরীর স্টেশন রোডে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে হজযাত্রী কল্যাণ পরিষদ। মানববন্ধনে হজযাত্রী কল্যাণ পরিষদ নেতৃবৃন্দ, হজযাত্রী ও সাধারণ ওমরাহ্যাত্রীগণ অংশগ্রহণ করেন। মানবন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পরিষদের সভাপতি আহমদুল ইসলাম চৌধুরী ও মহাসচিব অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম। এতে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে পাহাড়তলী হাজীক্যাম্পকে আধুনিকায়ন করে হজ অফিস হিসেবে চালু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন এবং সে হিসেবে দপ্তর হতে চিঠি ইস্যু করা হয়। শুধু তাই নয় ‘পুন: নির্মিয়মান চট্টগ্রাম হজক্যাম্প ও হজ প্রশিক্ষণ একাডেমি’ লিখে একটি সাইনবোর্ড ও চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে উক্ত হাজীক্যাম্পের সম্মুখ অংশে স্থাপন করা হয় যা বর্তমানেও দৃশ্যমান। হজযাত্রী কল্যাণ পরিষদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পাহাড়তলী হাজীক্যাম্প বিষয়ে দীর্ঘ ৮ বছরেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় গভীর হতাশা ব্যক্ত করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট গত ২০ মার্চ সভাপতি ও মহাসচিব স্বাক্ষরিত একটি চিঠিও প্রেরণ করা হয়।
এর পূর্বে পরিষদের আয়োজনে হোটেল সৈকতের হলে হজ প্রশিক্ষণ ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। পরিষদের সভাপতি আহমদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম। সালেহ আহমেদ সুলেমান ও যাহেদুর রহমান যাহেদের সঞ্চালনায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে হজ ও ওমরাহযাত্রীগণকে প্রশিক্ষণ দেন ঢাকা থেকে আগত মুহাম্মদ তানভীর হোসেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষে দিক নিদের্শনা প্রদান করেন চট্টগ্রাম ডিস্ট্রিক ম্যানেজার শাহাদাত হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ আবু ছালেহ, মুহাম্মদ ছলিম উল্ল্যাহ, ইসমাইল মানিক, প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দীন, কাজী মুহাম্মদ সাহাদাত হোসাইন, আবু মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ডা. মো. নুরুল আমিন, কাজী আরিফুল ইসলাম, মুহাম্মদ নাঈম নিমু, জয়নাল আবেদীন সাবাব, শুয়াইব হাসান, অ্যাড. কফিল উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাড. মো. ছমি উদ্দিন, মুহাম্মদ ইদ্রিস, মুহাম্মদ শরীফ, আবুল হাসনাত হাবিবুল বারী, নাজেম উদ্দিন ছিদ্দিকী, তামজিদুর রহমান, নুরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রশিক্ষণ ও সেমিনার শেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন কাজী শিহাব উদ্দিন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।