নগরীর পাহাড়তলী বাজারের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদ ও বিক্রির দায়ে প্রতিষ্ঠান দুটির স্বত্বাধিকারীকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, কর্ণফুলী টি এন্ড প্যাকেজিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. শাহাদাত হোসেন ও নিরব স্টোরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল কাদের। এরমধ্যে মো. শাহাদাত হোসেনকে ৫ হাজার টাকা ও আব্দুল কাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে তাদেরকে এ জরিমানা করা হয়। গতকাল কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সিএমপি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পৃথক দুটি টিম তাকে সহযোগিতা করেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন পরিদর্শক রুম্পা দাশ। জব্দকৃত ৪০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিনের মধ্যে নিরব স্টোরের রয়েছে সাড়ে তিনশ কেজি। বাকী ৫০ কেজি হচ্ছে কর্ণফুলী টি এন্ড প্যাকেজিংয়ের।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী আজাদীকে বলেন, পাহাড়তলী বাজার দিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে আমরা আজকে (গতকাল) অভিযান শুরু করেছি। অভিযানে দুই ব্যবসায়ীকে নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদ ও বিক্রির দায়ে হাতেনাতে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা দোষ স্বীকার করে জানান, ভবিষ্যতে আর বিক্রি নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবসার সাথে জড়িত হবেন না। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫(১) ধারায় তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। একজনকে ৫ হাজার টাকা এবং অপরজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৪০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তির জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, মোবাইল কোর্ট চলাকালীন পাহাড়তলী বাজারে দ্রব্যমূল্য তদারকিও করেছি আমরা। এসময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল তালিকা সংরক্ষণ না করায় আলমগীর নামের এক মুদি দোকানিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর আওতায় এ জরিমানা করা হয়। নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবসা নগরীর চাক্তাই কেন্দ্রিক হয়। চাক্তাই থেকেই পুরো চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ পলিথিন সরবরাহ হয়। এক্ষেত্রে চাক্তাইয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে কি না জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদ, বিক্রি যেখানেই হোক না কেন জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে পদক্ষেণ গ্রহণ করবে। যারা উৎপাদনকারী তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উৎপাদনস্থল তথা কারখানাতেও জেলা প্রশাসনের অভিযান পরিচালিত হবে। আমার জুরিসডিকশন যেখানে অর্থাৎ কাট্টলী সার্কেল এলাকায় আমরা অভিযান শুরু করেছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আমাদের নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।