এবারের মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা একটি অংশের ভর্তির সুযোগ থাকছে না বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; যা বদলানোর অনুরোধ করেছে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর সংগঠন বিপিএমসিএ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) একই দিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে চিঠি দেয়। চিঠিতে সংগঠনটি বলেছে, ১০–১২ বছরের চলমান নিয়ম পরিবর্তন হলে বেসরকারি মেডিকেলের অনেক আসন ফাঁকা থাকবে। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ দেশের বাইরে চলে যেতে পারে। এছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রেও আগের মত জিপি ৩.৫ (প্রতি বিষয়ে গ্রেড পয়েন্ট) করার দাবি জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. টিটু মিয়া জানান, শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম যেন না হয় সে ক্ষেত্রে সরকার যথেষ্ট সচেতন। বিপিএমসিএ এর চিঠি প্রসঙ্গে তিনি জানান, এ নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে সরকার যদি মনে করে তা হলে বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
এ বছর এক লাখ ৩৫ হাজার ৮১৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪৯ হাজার ১৯৪ জন পাস করেন। এর মধ্যে মেধা অনুযায়ী চার হাজার ৩৫০ জন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে বলে গত ১২ মার্চ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরে গত বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের আরেক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রস্তুত করা মেধা তালিকার ৩৪ হাজার ৮৩৫ জন শিক্ষার্থী বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। এ হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন ৩৯ হাজার ১৮৫ জন। আগের নিয়মে পাস করা সবাই মেডিকেল ভর্তির আবেদন করতে পারতেন।
মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বিপিএমিসিএ এর দাবি, ৪৯ হাজার ১৯৪ জন পাস করার অর্থ হচ্ছে তারা সবাই সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ রাখে। এটা তাদের আইনগত ও মৌলিক অধিকার। পাস করার পরেও হঠাৎ করে একটি অংশকে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ না দেওয়ায় আইনি জটিলতার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও ওই সংগঠনের পক্ষে বলা হয়।
অপরদিকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞান বিষয়ে জিপি ৪ (প্রতি বিষয়ে গ্রেড পয়েন্ট) নির্ধারণ করায় অনেকেই এদেশে পড়তে আসবে না উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়ে থাকে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, আগের মত সাড়ে ৩ জিপি বহাল না করা হলে সরকার এ রাজস্ব হারাবে।