নগরীর পাঁচলাইশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে অভিযান চালিয়ে ১১ দালালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাসপোর্টের আবেদন করতে আসা দুই ভাইকে জিম্মি করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাইফুল হক (৪১), জাকির হোসেন রাজু (৫০), সাইফুল ইসলাম (৫৮), আমিনুল ইসলাম (৫৬), রফিক আহাম্মদ (৪৮), জহির উদ্দিন (৪৮), মোহাম্মদ মিয়া জুনায়েদ (৩৬), মজিবুল হক সোহেল (৪০), আহম্মদ হোসেন (৪৭), জামাল উদ্দিন (৪১) এবং হাজী মো. শফি (৭০)। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায়।
পুলিশ জানায়, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা থেকে সোহেল রানা নামে এক শিক্ষার্থী ও তার বড় ভাই আলী আকবর সকালে পাসপোর্টের আবেদন করতে পাঁচলাইশের আঞ্চলিক কার্যালয়ে যান। তারা গেটে পৌঁছার পর ২০ থেকে ২২ জন লোক তাদের ঘিরে ধরে। সেখানে যাওয়ার কারণ জানতে চান। তখন সোহেল রানা জানান, তিনি প্রথমবার পাসপোর্ট করবেন এবং তার ভাইয়ের জন্য নতুন পাসপোর্ট বই ইস্যুর আবেদন করবেন। তখন ঘিরে ধরা লোকজন তাদের দ্রুত ও সহজে কাজ করে দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু তারা সরকারি নিয়মে আবেদন করবেন জানালে ওই লোকজন মারমুখী হয়ে ওঠেন এবং তাদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করতে থাকেন। একপর্যায়ে আলী আকবরের পকেট থেকে ৫ হাজার টাকা কেড়ে নেন।
এ ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, সোহেল রানা জটলা থেকে কৌশলে সরে এসে আমাকে ফোন করেন। আমি দ্রুত টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১১ জনকে ধরে ফেলি। এ সময় আরও কয়েকজন বিভিন্নভাবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাদের কয়েকজনকে তল্লাশি করে মোট ৫৫ হাজার টাকা উদ্ধার করি। এর মধ্যে আলী আকবরের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া ৫ হাজার টাকাও আছে। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকেন্দ্রিক ৩০ জন সক্রিয় দালালের নাম আমরা পেয়েছি। তারা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সাধারণ লোকজনকে পাসপোর্ট করতে বাধ্য করে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তারা রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে। আমরা সব দালালকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।