পাশ্চাত্য সভ্যতার জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস ছিল প্রাচ্য

বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনারে বক্তারা

| রবিবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক ও বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্রের নব নির্বাচিত মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুঈন উদ্দিন আহমদ খান রচিত ‘প্রায়োগিক বিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ : আধুনিক পাশ্চাত্যের মুখোমুখি’ গ্রন্থের উপর এক সিম্পোজিয়াম গতকাল শনিবার নগরীর ধনিয়ালাপাড়াস্থ বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্রের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। বায়তুশ শরফের পীর আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী (ম.জি.আ) এর সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামে মূল বক্তব্য প্রদান করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নাকীব। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মুঈন উদ্দিন আহমদ খান। বায়তুশ শরফ ইসলামি গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিউর রহমান সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারী। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সারোয়ার আলম, গবেষক মেহেদী হাসান, মাসুদ জাকারিয়া। অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ইদ্রিস মিয়া, ড. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ড. মাহীউদ্দীন, অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন, অধ্যাপক জিয়াউর রহমান, ড. মাওলানা মাহমুদুল হক, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ছালেহ মুহাম্মদ ছলিমুল্লাহ প্রমুখ।
এতে বক্তারা বলেন, আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতা জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎসসমূহ প্রাচ্য থেকেই পেয়েছিল। গ্রীসের বিখ্যাত পণ্ডিতগণ অনেকবার প্রাচ্য ভ্রমণ করেন এবং প্রাচ্যের পণ্ডিতদের সাধনালব্ধ জ্ঞান-ভাণ্ডার থেকে অবলীলায় গ্রহণ করেন। অতঃপর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে উক্ত জ্ঞান-বিজ্ঞান ছড়িয়ে দেন। সে যুগে গ্রীকরা প্রাচ্যের জ্ঞান-ভাণ্ডার থেকে কতটুকু গ্রহণ করেছিলেন কিংবা মুসলমানরা গ্রীক দর্শনকে কীভাবে গ্রহণ করে এবং তাতে কতটা সংযোজন করে ইত্যাদি বিষয় স্বতন্ত্র গবেষণার দাবি রাখে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরামুতে দুই সপ্তাহ ধরে উপজাতি কিশোর নিখোঁজ
পরবর্তী নিবন্ধ৩৫ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিল ফটিকছড়ি পৌরসভা