বিগত তিন দিনেও হাতি শাবকটির মৃতদেহ কাপ্তাই হ্রদ থেকে উদ্ধার করতে পারেনি বন বিভাগ। শাবকটির পাশে তিনদিন ধরে দাঁড়িয়ে আছে মা হাতিটি। ইতোমধ্যে শাবকটির শরীরে পচন ধরেছে। গত সোমবার রাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের কাচালংমুখ বনশুল্ক ও পরীক্ষণ ফাঁড়ির আওতাধীন রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার বরুনাছড়ি গ্রামের লিটনের টিলা এলাকায় একটি হাতির শাবক মারা যায়। বন বিভাগ বলছে, পাহাড় থেকে পা পিছলে আহত হয়ে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে মারা গেছে শাবকটি। গতকাল বৃহস্পতিবার কাচালংমুখ বনশুল্ক ও পরীক্ষণ ফাঁড়ির স্টেশন অফিসার (এসও) মো. মতিউর রহমান জানান, হাতি শাবকটির মৃতদেহ আগের জায়গা থেকে সরে অন্য একটি জায়গায় চলে গেছে। ধারণা করছি, এটা মা হাতিটি নিয়ে গেছে। কারণ মা হাতিও আগের স্থান থেকে কিছু উপরে অবস্থান নিয়েছে। বুধবার রাতে হাতির পাল সেখানে ডাকাডাকি করেছে। আজও হাতির পালটি ওই পাহাড়ে পাশে অবস্থান করছে। আমরা আজকেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি। পাশের পাহাড়ে এখনো হাতির পাল রয়েছে। আর মা হাতিটিও শাবকটির পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তাই কাছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কাছে গেলে মা হাতি তেড়ে আসে। শাবকটির মৃতদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, আজকেও (বৃহস্পতিবার) হাতির শাবকটির মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি। শাবকটির পাশে হাতির মা সেখানে দাঁড়িয়ে আসে। কাছে যাওয়া যাচ্ছে না।












