রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে তারা দোনেৎস্কে একটি বড় ইউক্রেনীয় হামলা প্রতিহত করেছে এবং আড়াইশো ইউক্রেনীয় সৈন্যকে হত্যা করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ইউক্রেনের অনেক সাঁজোয়া গাড়িও ধ্বংস করেছে। লড়াইয়ের সময় ধারণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে এমন ভিডিওতে দেখা যায় যুদ্ধক্ষেত্রে সামরিক যানবাহন তীব্র হামলার মুখে পড়েছে। তবে রাশিয়ার দাবির ব্যাপারে কিয়েভ কোন মন্তব্য করেনি এবং রাশিয়ার এই দাবি স্বাধীন সূত্র থেকে যাচাই করা যায়নি। খবর বিবিসি বাংলার। ইউক্রেন একটি পাল্টা হামলা চালাতে পারে বলে অনেকদিন ধরেই ধারণা করা হচ্ছিল, কিন্তু কিয়েভ বলছে তারা এরকম হামলার কোন আগাম সংকেত দেবে না। ইউক্রেন যে পাল্টা–হামলার কথা বলছিল এটি তার সূচনা কি না তা বলার সময় এখনো আসেনি। তবে যুদ্ধে অন্য কয়েকটি জায়গায় ইউক্রেন যেসব ছোট–খাট সাফল্য দাবি করছে তাতে মনে হয় তাদের সামরিক তৎপরতা সামপ্রতিক সময়ে বেড়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইউক্রেন রবিবার ব্যাপক মাত্রায় দোনেৎস্কে এক পাল্টা–হামলা শুরু করেছিল ছয়টি যান্ত্রিক এবং দুটি ট্যাংক ব্যাটালিয়ন দিয়ে।
রাশিয়া দাবি করছে, ইউক্রেনিয়ানরা চেষ্টা করেছিল রুশ প্রতিরক্ষা লাইন ভেদ করার। কারণ কিয়েভ মনে করে যুদ্ধক্ষেত্রে এখানেই ছিল রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। তবে রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনের এই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি, তারা কোন সাফল্য পায়নি। মস্কো দাবি করছে লড়াইয়ে ইউক্রেনের আড়াইশো সেনা নিহত হয়েছে, সেই সঙ্গে ধ্বংস হয়েছে ১৬টি ট্যাংক।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় অস্ত্র–শস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাদের মুখে মুখোশ এবং তারা তাদের ঠোঁটের ওপর আঙ্গুল ধরে রেখেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি এখনো যাচাই করা যায়নি। ফুটেজে যেরকম দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেনের সাঁজোয়া বহর যদি সত্যি সেরকম তীব্র আক্রমণের মুখে পড়ে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে রুশ দখল থেকে নিজেদের ভূমি মুক্ত করতে গিয়ে ইউক্রেনের বাহিনীকে তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হবে। আর যদি এই ভিডিও ফুটেজ সত্যি না হয়, তাহলে বুঝতে হবে মস্কো আসলে যুদ্ধের বর্তমান অবস্থার ভিন্ন চিত্র তুলে ধরতে চাইছে তাদের মতো করে।