পালিয়ে থাইল্যান্ডে আরও মানুষ

মিয়ানমারে বিমান হামলা

| শনিবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:১১ পূর্বাহ্ণ

থাই সীমান্তের কাছে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিমান হামলার মুখে নতুন করে থাইল্যান্ডে পালিয়েছে শত শত বাস্তচ্যুত মানুষ। মিয়ানমারের পুরোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) জানায়, সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার দিনশেষে থাই-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে কেএনইউ নিয়ন্ত্রণাধীন একটি এলাকায় অন্তত দুটি বিমান হামলা চালিয়েছে এবং গোলা বর্ষণ করেছে। খবর বিডিনিউজের।
থাই সীমান্ত শহর মায়ে সোত থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে চালানো হয় এ বিমান হামলা। রয়টার্সের এক সাংবাদিক বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে ওই শহর থেকে কয়েকটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এ হামলা সম্পর্কে জানতে ফোন করা হলে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের মুখপাত্রের কাছ থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারকে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলে আছে। গ্রামাঞ্চলের জঙ্গলে জঙ্গলে জান্তার বিরুদ্ধে লড়তে সংগঠিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী। মাঝে মধ্যেই তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হচ্ছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) নতুন করে লড়াই শুরু হয় গত সপ্তাহে। সহিংসতার শুরু থেকেই ৪ হাজার ২শ মানুষ পালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে ঢোকে বলে জানায় থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সুশীল সমাজের কয়েকটি গোষ্ঠী বলছে, বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১০ হাজার মতো হবে।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী কেএনইউ এর মুখপাত্র স ত নি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বিমান হামলার কারণে সীমান্ত এলাকায় বাস করা আরও মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এলাকাটি উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা হিসাবে ঘোষণা করার জন্য গোষ্ঠীটি আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তানি সংগ্রাত গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। এই সহিংসতায় সীমান্ত এলাকায় বাস করা থাই মানুষজনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্কুল ফটকের দুই পাশে আবর্জনার ভাগাড়
পরবর্তী নিবন্ধধর্ষণের পর বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা