পালাকারের উজানে মৃত্যু

প্রতিনিধি নাট্যোৎসবের চতুর্থ দিন

| মঙ্গলবার , ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ

প্রতিনিধি নাট্যোৎসবের ৪র্থ দিনে গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সন্ধ্যায় ৫৭ তম প্রদর্শনী হয় পালাকারের ২৬ তম নাট্য প্রযোজনা, কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত সর্বশেষ নাটক উজানে মৃত্যুর। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শামীম সাগর। তিনটি প্রতীকী চরিত্রের অস্তিত্বহীন অনিশ্চিত গন্তব্যের পরিক্রমায় মানবজীবনের প্রকৃত সত্যের সন্ধান নিয়ে নাটকটি। নাটকের আগে বিকেলে নাট্যকর্মী সায়মা জান্নাতের সঞ্চালনায় অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ এবং গণসঙ্গীত পরিবেশন করে সৃজামী সাংস্কৃতিক অঙ্গন।

এসময় উৎসব ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রতিনিধির নাট্যকর্মী রাজশ্রী ভৌমিক। নাটকের চরিত্রগুলোর কোনো নাম না থাকলেও নাট্যকার চিহ্নিত করেছেননৌকাবাহক, সাদা পোশাক পরিহিত ব্যক্তি, কালো পোশাক পরিহিত ব্যক্তি হিসেবে। এ তিন চরিত্রই শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষকে নির্দেশ করে। স্ত্রী, তিন ছেলে, বেঁচে থাকার জন্য উর্বর জমি, সবই ছিল নৌকাবাহকের। কিন্তু কালে কালে সে হয়ে গেছে শূন্যহস্ত। তাই সে তার নৌকা বয়ে চলছে উজানের দিকে। সাদা পোশাক পরিহিত ব্যক্তি নৌকাবাহকের সহযাত্রী ও তার বাল্যবন্ধু। জীবন সম্পর্কে তার প্রতিক্রিয়া নৌকাবাহকের অনুরূপ। আর কালো পোশাক পরিহিত ব্যক্তি উজানে যাত্রায় ভীত। কেননা প্রথাবদ্ধ অস্তিত্বহীন জীবনে তার কোনো সংশয় নেই।

অস্তিত্ববাদ, রূপকপ্রতীকী দৃশ্যের অবতারণা ও নিরীক্ষার পরিমিত প্রয়োগে সম্পূর্ণ দৃশ্যকাব্যটি সুখদর্শনের পাশাপাশি সঞ্চার করে এক গভীর জীবনবোধ। এখানেই মনে হয় অ্যাবসার্ড নাটকের অন্যতম সার্থকতা। আর এটাই খুব যত্নশীলভাবে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন নির্দেশক। পালাকারের ‘উজানে মৃত্যু’ নাটকটি মৃত্যু থেকে মুখ ফিরিয়ে জীবনের পথে, সংগ্রামের পথে চলার কথা বলে। নাটকটিতে অভিনয় করেছেনআমিনুর রহমান মুকুল, কাজী ফয়সল, চারু পিন্টু, ফাহমিদা মল্লিক শিশির, মুনিরা অবনী ও মেহরান সানজানা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশুরু হচ্ছে সিসিমপুরের নতুন মৌসুম, সিজন-১৫
পরবর্তী নিবন্ধবইমেলা সরাসরি উপস্থাপনায় তারা