পার্ল এস বাক(১৯৩৮–১৯৭৩)। পুরো নাম পার্ল সিডেনস্ট্রিকার বাক। মানবতাবাদী ঔপন্যাসিক। ১৯৩৮ সালে তিনি প্রথম মার্কিন নারী হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। ১৮৯২ সালে ২৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার হিলসবরোতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মায়ের কাছে ইংরেজি ও কিং নামের এক
চীনা ব্যক্তির কাছে চীনা ভাষা শিখেন পার্ল। ১৯১৪ সালে তিনি জন লসিং বাক নামের একজন মিশনারিকে বিয়ে করেন। নিজেও মিশনারি হয়ে বসবাস শুরু করেন চীনের সজোতে। পরে তিনি মিশনারির কাজ ছেড়ে দেন। সেখানকার পটভূমিতে লেখেন ‘দ্য গুড আর্থ’। আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি
ভাষায় এমএ করেন। পার্ল এস বাক লেখালেখির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক অসংগতি নিয়ে লিখেছেন, আন্দোলন করেছেন সমানতালে। নারী অধিকার, শিশু অধিকার, ভারতীয়দের চীনে থাকার দাবি, দারিদ্র্য দূরীকরণ, পরিচয়হীন সন্তানদের নানা বিষয়ে। তাঁর একটি সন্তান ছিল মানসিক প্রতিবন্ধী। এ দরদ থেকেই
তিনি পালক সন্তান নেন। পিতৃপরিচয়হীন সন্তানদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিষ্ঠা করেন বেশ কিছু আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংগঠন। ১৯৪৯ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক সন্তান পালক সংস্থা বা আন্তর্জাতিক অ্যাডোপশন কমিটির প্রতিষ্ঠাতা তিনি। একইভাবে প্রতিষ্ঠা করেন ওয়েলকাম হাউস। যেখানে পাঁচ হাজার নিস্ব,
অভিভাবকহীন সন্তান স্থান পায়। তার রচিত উপন্যাস দ্য গুড আর্থ ১৯৩১ ও ১৯৩২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বাধিক বিক্রিত কল্পকাহিনী বই ছিল এবং তিনি ১৯৩২ সালে পুলিৎজার পুরস্কার লাভ করেন। ‘চীনের কৃষক শ্রেণীর জীবনের পরিপূর্ণ ও মহাকাব্যিক বর্ণনা এবং তার আত্মজৈবনিক শ্রেষ্ঠকর্মের জন্য’ ১৯৩৮
সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম মার্কিন নারী হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭৩ সালের ৬ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।