খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রতা পাহাড়ি জনগণকে রাজনৈতিক হতাশ করেছে। দেশের প্রাকৃতিক সম্ভাবনা এবং জাতিগত বৈচিত্র্যময় জনপদের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিদ্যমান রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করা উচিত।
দীঘিনালা উপজেলার সদরের কল্পরঞ্জন মাঠে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) উদ্যোগে গতকাল বুধবার জনসভায় সভাপতিত্ব করেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা তরু। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা)-এর কেন্দ্রীয় শরণার্থী বিষয়ক সম্পাদক প্রফুল্ল কুমার চাকমা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল-চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সভাপতি জনার্দন দে, প্রীতিময় চাকমা, অ্যাড. মো. আব্দুর রহিম। অমর চাকমার সভায় আরো বক্তব্য দেন ধর্মবীর চাকমা, বিশ্বকল্যাণ চাকমা, জনপ্রিয় চাকমা, আনন্দ মোহন চাকমা, হেমব্রত কার্বারী, মিটন চাকমা, দীপন চাকমা।
এদিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে সকালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট হলে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনব্যাপি কর্মসূচি শুরু হয়। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
সভায় এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পার্বত্য চুক্তি দেশে ও বিশ্বে প্রসংশিত হয়েছে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এম এনলারমা) পার্বত্য চুক্তির ২৩ বছর উপলক্ষে পৃথক কর্মসূচি পালন করে। সকাল ১০টা খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণজমায়েত করে পরবর্তীতে মিলনপুরস্থ মারমা সংসদ কমিউনিটি সেন্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুভাষ কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা। আলোচানা সভায় বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন দ্রুত কার্যকর করা ও পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানান।
