পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির প্রতিটি শর্ত অক্ষরে অক্ষরে পূরণ হবে

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী কাদের

রাঙামাটি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৪ মে, ২০২২ at ৮:৫৭ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির প্রতিটি শর্ত শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে অক্ষরে অক্ষরে পূরণ হবে।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “১৩ বছর আগের রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির সাথে ১৩ বছরের পর এই তিন জেলার উন্নয়নে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বিএনপি যতবার ক্ষমতায় গেছে তাদেরকে টেনে-হিঁচড়ে নামাতে হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব ফখরুল পদ্মা সেতু নিয়ে অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন।”

আজ মঙ্গলবার(২৪ মে) সকাল ১১টার দিকে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ইন্সটিটিউটে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হাজাী মুছা মাতব্বর, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “বাংলাদেশ কখনো শ্রীলংকা হবে না। বাংলাদেশ
আফগানিস্তান, পাকিস্তানও হবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যথেষ্ট শক্তিশালী সেটা প্রমাণিত হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বিএনপি এখন সারাদিন বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবে বলে যাচ্ছে। বিএনপি-জামাতের সৃষ্টি পাকিস্তান থেকে।”

এদিকে, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ-এর সম্মেলনকে ঘিরে পার্বত্য রাঙামাটি আওয়ামী লীগ-এর নেতা কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের অনুরোধে সভাপতি প্রার্থী নিখিল কুমার চাকমা তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। এতে করে দীপংকর তালুকদার আবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চতুর্থবার সভাপতি নির্বাচিত হন।

অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে হাজী মুছা মাতব্বর কাউন্সিলরদের ভোটে ১৩৮ ভোটে পেয়ে ২য়বারের মতো আবারও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

অপরদিকে, হাজী কামাল উদ্দিন পেয়েছেন ১০২ ভোট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় গাছের সাথে আটকে রক্ষা পেল বাসের যাত্রী
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে দুই অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার