পার্বত্য চট্টগ্রামের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে রাঙামাটিতে সভা

রাঙামাটি প্রতিনিধি | বুধবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ

পার্বত্য চট্টগ্রামের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার ও সমপ্রদায়ের বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কানাডিয়ান সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ উদ্যোগে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ; পার্বত্য চট্টগ্রামে সমপ্রদায়ের সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জীববৈচিত্র্য প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার প্রকল্প (ইআরআরডিসিএইচটি) নামে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। গতকাল মঙ্গলবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘জীববৈচিত্র্য নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা সভায়’ এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য নাউপ্রু মারমা, জেলা পরিষদের কনসালটেন্ট অরুনেন্দু ত্রিপুরা, ইউএনডিপির কর্মকর্তা বিহিত বিধান খীসা, প্রকল্পটির রাঙামাটি জেলা কর্মকর্তা কামনাশীষ খীসা প্রমুখ। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দেন।

সভায় জানানো হয়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে পাহাড়ে ১৫০টি বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল চিহ্নিত করে ৪৫০টি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা, বন্যপ্রাণী চলাচলের করিডোর সৃষ্টি, ঝরনা ও পানির উৎস পুনরুদ্ধার, পানি সংরক্ষণে প্রযুক্তি স্থাপন, পানি সংরক্ষণ ও মাটি ক্ষয়রোধে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন, তিন পার্বত্য জেলায় ইকোট্যুরিজম পাইলট কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা, মানুষ ও বন্য প্রাণীর দ্বন্দ্ব নিরসন, প্রকল্পের প্রাকৃতিক নির্ভর ১৩ হাজার ৫০০ পরিবারকে বিকল্প আয়ের সহায়তা প্রদান, বসতভিটা, ঝিরি, ঝরনা ও ছড়া এলাকায় স্থানীয় বিলুপ্তি প্রায় প্রজাতির ২ লাখ ২৫ হাজার বৃক্ষরোপণ, গ্রামীণ সাধারণ বনের সক্ষমতার উন্নয়নে সহায়তা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্ররোধে সহায়তা, বন্যপ্রাণী উদ্ধার টিম গঠন, নারীদের ক্ষমতায়ন, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ বিষয়ক সচেতনা কার্যক্রমসহ ইত্যাদি উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধিবিশেষ করে দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ নারী ও মেয়েদের সক্ষমতা অর্জন হবে। যা কুনমিংমন্ট্রিয়াল গ্লোবাল জীববৈচিত্র্য কাঠামোর লক্ষ্য অর্জনের সাহায্য করবে বলে আলোচনা সভায় বলা হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পটির মেয়াদকাল ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। প্রকল্পের বরাদ্দ ধরা হয়েছে কানাডিয়ান ১২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১১০ কোটি টাকা)। তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির ৪০ হাজারের অধিক পরিবারকে প্রকল্পের আওতায় আনাই উদ্দেশ্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএনপিএসবি-আইবিএফটি সেবা চালু করল স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দিনমজুর নিহত