পারিবারিক বিরোধের জের ধরে চকরিয়ায় নাতনী জামাইয়ের হাতে বেধড়ক পিটুনির শিকার হয়ে প্রাণ হারালেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা নানী শাশুড়ি গোলতাজ বেগম। এই ঘটনায় স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত নাতনী জামাই হেফজ্খানার শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে (২৮) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব নয়াপাড়ার থমতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বেধড়ক মারধরে খুনের শিকার বৃদ্ধা নানী শাশুড়ি গোলতাজ বেগম ওই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী।
অভিযুক্ত নাতনী জামাই মোহাম্মদ আবদুল্লাহর বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঈদগাঁও উপজেলায়। তিনি পোকখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোমাতলীস্থ বার আউলিয়া পাড়ার মৃত মোহাম্মদ জাকারিয়ার ছেলে এবং কঙবাজার শহরের তারাবনিয়ার ছড়ার নুরুল কোরআন হেফজ্খানার শিক্ষক।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) জিশান শাহরিয়ার জানান,পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুইমাস আগে থেকে আবদুল্লাহ‘র সঙ্গে বিরোধ চলে স্ত্রী ও নানী শাশুড়ি গোলতাজ বেগমের। এর জের ধরে আজ সোমবার (গতকাল) বিকেলে লোহার বস্তু দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয় গোলতাজকে। এ সময় তাকে উদ্ধার করে কঙবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে মারা যায়। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জিশান শাহরিয়ার আরও জানান– এই ঘটনার পর পরই স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত নাতনী জামাই মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন– খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জনতার সহায়তায় অভিযুক্ত নাতনী জামাই মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।