তার ডাকনাম আরজু। মাত্র তেরো বছরের কন্যা শিশু। বাবা-মা দুজনেরই রয়েছে আলাদা সংসার। মেয়েটি থাকতো মায়ের সাথে। হঠাৎ কোন খোঁজ নেই তার। উৎকন্ঠা আর উদ্বেগ নিয়ে মা দ্বারস্থ হলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের খুলশী থানার।
তারপর খুলশী থানার একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ও অন্যান্য কৌশল অবলম্বন করে আকবরশাহ থানাধীন বিশ্বকলোনির সেভেন মার্কেট এলাকা থেকে উদ্ধার করে তাকে ফিরিয়ে দেয় অভিভাবকদের কাছে।
নাহ, এটি কোন অপহরণ নয়। তবে ঘটনাটির পেছনে রয়েছে বয়ঃসন্ধিক্ষণের জটিল মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন আর পারিবারিক নানান জটিলতা। এরকম ঘটনাগুলো আবার আমাদের সামনে একটি বড়সড় প্রশ্নসূচক চিহ্ন দাঁড় করায়- ‘আমরা আমাদেত শিশুর সঠিক যত্ন নিচ্ছি তো?’
এ ব্যাপারে খুলশী থানার ওসি রুবেল হাওলাদার দৈনিক আজাদীকে বলেন, ঐ মেয়েটির মা অন্যত্র সংসার করেন, সেখানে একটা রুমে মা আর সৎ বাবার সাথে থাকতো সে। মেয়েটির বয়স তেরো বছর। বয়ঃসন্ধিক্ষণের বিষয়টিও আছে। মা-বাবার সাথে এক রুমে থাকাটা তার আনিজি ফিল হচ্ছিল।
তাই সে কাউকে না বলে এক আত্মীয়ের বাসার চলে যায়। আমাদের অভিযানে মেয়েটিকে ঊদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। মেয়েটি তার মা সৎ বাবার সাথে থাকতে চায় না। সে খালার বাসায় থাকতে চায়। তাই খালাকে মেয়েটিকে বুঝিয়ে দিয়েছি। থানা তার মাও উপস্থিত ছিলেন।