পারকি সমুদ্র সৈকতে বিরল প্রজাতির ৭ কচ্ছপের মৃতদেহ নিয়ে স্থানীয় ও পর্যটকদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। গত রবিবার বিকাল থেকে সৈকতে ১ কিলোমিটারের মধ্যে পড়ে থাকা কচ্ছপের মৃতদেহগুলো স্থানীয়দের নজরে আসে। দীর্ঘদিন ধরে পারকি সৈকত এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠার পর সৈকত এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে কচ্ছপগুলো মারা যায় বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ।
সৈকতে মৃত একেকটি কচ্ছপের ওজন ২৫–৩৫ কেজি হতে পারে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সাগরে পরিবেশ দূষণের কারণে বিরল প্রজাতির সাতটি কচ্ছপের মৃতদেহ সাগরের জোয়ারে ভেসে এসে সৈকতে আটকে পড়ে। চরে পড়ে থাকা মৃত কচ্ছপগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটাতে পচন ধরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যার কারণে বেশ কয়েকটি কচ্ছপ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা গর্ত করে মাটিতে পুঁতে ফেলে। আরো বেশ কয়েকটি কচ্ছপের মৃতদেহ সৈকতে পড়ে থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন তৎপরতা নেই বলে জানায় সৈকতের ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সমরঞ্জন বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, আগে কখনো পারকি সমুদ্র সৈকতে কচ্ছপের মৃতদেহ ভেসে আসার ঘটনা আমার জানা নেই। তবে নানা কারণে এসব কচ্ছপের মৃত্যু হতে পারে। তাই বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিভাগের সাথে যৌথভাবে মৃতদেহগুলো পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরিক্ষার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিদির্ষ্ট বয়সের পর কচ্ছপের মৃত্যু হয়। এছাড়া সাগরে মাছ ধরার জাল, ট্রলার, জাহাজের আঘাত ও পরিবেশ দূষণের কারণে বিষক্রিয়ায় কচ্ছপ বা অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে পারকি সৈকত এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠার পর সৈকতে এক কিলোমিটারের মধ্য কচ্ছপের মৃত্যু নিয়ে সচেতন মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পারকি বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি তাহমিনা আক্তারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।