পারকি সৈকতে পরিকল্পিত উন্নয়ন কাজ করা হবে

প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা বিষয়ক সভায় ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক

আনোয়ারা প্রতিনিধি  | শুক্রবার , ১৬ মে, ২০২৫ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ, যুগ্মসচিব) আবু সেলিম মাহমুদউল হাসান বলেছেন, অপার সম্ভাবনার পারকি সমুদ্র সৈকত পর্যটন শিল্পে বিরাট অবদান রাখবে। এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই পারকি সৈকতে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কাজ করা হবে। পারকি সৈকত হচ্ছে দেশের সম্পদ।

বাংলাদেশের যতটা শিল্পখাত আছে তার মধ্যে পর্যটনকেও শিল্পখাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে পরিকল্পিত বিনিয়োগের মাধ্যমে এই খাত থেকে বিপুল পরিমাণ আয় হবে সরকারের। তাই পারকি সৈকতকে পুরোদমে প্রস্তুত করতে হবে। পারকির উন্নয়ন কাজ শেষ হলে আগামীতে আনোয়ারাবাসী পর্যটক খাতে অনেক সুযোগ সুবিধা পাবে। আগে পৃথিবী ছিল কৃষিনির্ভর, তারপর শিল্প নির্ভর, এখন আসছে সেবা নির্ভর। চিকিৎসা সেবার মতো পর্যটনও একটি সেবা শিল্প। এ খানে সেবার মান বাড়ানোর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত পারকি ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের উন্নয়নে ৪টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা উপলক্ষে স্টেকহোল্ডার কন্সাল্টেশন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদুল হক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌস হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা (ভারপ্রাপ্ত) কমান্ডার আইয়ুব খান রফিক, আনোয়ারা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম. নুরুল ইসলাম, সাংবাদিক খালেদ মনছুর প্রমূহ।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, আনোয়ারায় একটি পরিকল্পিত স্পেশাল ট্যুরিজম (পর্যটন) কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব হলে পর্যটন শিল্পে এ অঞ্চলে ব্যাপক প্রসারতা লাভ করবে।

সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, পারকিতে পরিকল্পিত উন্নয়ন করতে হলে, অবৈধ স্থাপনা দোকান উচ্ছেদ করতে হবে, মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে হবে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে। সৈকতের বৈর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ নানা পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। সভায় বক্তারা মেরিন একাডেমি থেকে বার আউলিয়া পর্যন্ত বেড়িবাঁধ দখল করে নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানানো হয়। কর্মশালায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী, পারকি বীচ এলাকার ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপোমরা তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সালানা জলসা ও পুরস্কার বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধচবি ক্যাম্পাসে থেকে ৯৬ বস্তা আবর্জনা অপসারণ করল কোয়ান্টাম সোসাইটি