পানি বেড়ে তলিয়ে যাচ্ছে শঙ্খচরের সবজি ক্ষেত, বন্যার শঙ্কা

মুহাম্মদ এরশাদ, চন্দনাইশ | মঙ্গলবার , ২ জুলাই, ২০২৪ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে চন্দনাইশে উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরা। বিশেষ করে শঙ্খ তীরবর্তী এবং শঙ্খনদের চরের কৃষকরা বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের নিচু অংশে প্রায় সব সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু এলাকায় আমনের বীজতলাও পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় শঙ্খনদের তীরবর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে।

শঙ্খচরের কৃষক মোস্তফা, হাসান ও মারুফ জানান, গত ২৯ জুন থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। টানা বৃষ্টির ফলে অধিকাংশ ক্ষেতে পানি জমে গেছে। পাশাপাশি উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে আসার কারণে শঙ্খনদে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে চরের নিচু অংশের সবজিক্ষেত ডুবে গিয়ে একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে।

কৃষকরা জানান, সবজি ক্ষেতে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি পড়লে ফলন কমে যায়। এ কসময় পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় ক্ষেত। কৃষক হাসান জানান, তিনি চলতি মৌসুমে প্রায় ৫ কানি জমিতে মিষ্টি কুমড়া, লাউ, চাল কুমড়া, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা চাষ করেছেন। অতিবৃষ্টিতে অধিকাংশ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কৃষক মারুফ জানান, তার ১ কানিরও বেশি পরিমাণ জমির ধনেপাতা ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে আছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে তার পুরো ধনেপাতা ক্ষেতই নষ্ট হয়ে যাবে।

ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আশরাফ উদ্দীন ভূইয়া জানান, পাহাড়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে শঙ্খনদে হু হু করে বাড়ছে পানি। ইতোমধ্যে নদের নিচু অংশের অধিকাংশ বেগুন ক্ষেত ডুবে গেছে। সমতলের অন্যান্য সবজি ক্ষেতেও পানি জমে আছে। চিরিংঘাটা এলাকায়ও বেগুন, করলাসহ বিভিন্নধরনের সবজি ক্ষেত ইতোমধ্যে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণ আঁখ ক্ষেতেও পানি জমছে। নদে যে হারে পানি বাড়ছে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা দেখা দিতে পারে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসাইন জানান, এ পর্যন্ত যা বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে সবজির তেমন ক্ষতি হয়নি। মঙ্গলবার (আজ) পুরো উপজেলার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপরই জানা যাবে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সবজি ক্ষেত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়ক ডুবে যান চলাচল ব্যাহত
পরবর্তী নিবন্ধবদলি বরখাস্ত অবসর দুর্নীতিকে আরও উৎসাহ দেয় : টিআইবি