পানি কম থাকায় কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

কাপ্তাই লেক : ৫ ইউনিটের মধ্যে সচল আছে দুটি

কাপ্তাই প্রতিনিধি | সোমবার , ১৩ জুন, ২০২২ at ৮:১৫ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাই লেকে পানির স্তর বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে এসেছে। এই মুহূর্তে (১২ জুন) রুলকার্ভ (পানির স্তর) অনুযায়ী পানি থাকার কথা ৭৯ ফুট মীন সী লেভেল (এমএসএল)। কিন্তু লেকে পানি রয়েছে ৭৪ ফুট এমএসএল। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমিয়ে আনা হয়েছে। ৫টি ইউনিটের মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র দুটি। এগুলো থেকে ৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা থাকলে উৎপন্ন হচ্ছে ৫৮ মেগাওয়াট। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের কাপ্তাই লেকে পানি কম থাকার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় এবং প্রচন্ড খরার কারণে কাপ্তাই লেকে পানির স্তর অনবরত কমে যাচ্ছে। এভাবে বৃষ্টিহীন এবং খরা অব্যাহত থাকলে পানির স্তর আরো কমে যাবে। পরিস্থিতি এমন হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আরো একটি ইউনিট বন্ধ রাখতে হতে পারে। হ্রাস হতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎকেন্দ্র কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই লেকে সর্বোচ্চ ১০৯ ফুট পানি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এর বেশি পানি হলে কাপ্তাই বাঁধ রক্ষার্থে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি স্পীল (পানি নিষ্কাশনের গেইট) খুলে দিয়ে অতিরিক্ত পানি কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। লেকের পানি ৬৬ ফুট নেমে এলে পানির অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাবে। তবে কর্তৃপক্ষ আশা করছেন যে কোনো মুহূর্তে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে কাপ্তাই লেকে পানি কম থাকায় নৌ যোগাযোগ স্থবির হয়ে পড়েছে। বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, লংগদু, বরকল, নানিয়ারচর ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় স্বাভাবিক যোগাযোগে বিপর্জয় নেমে এসেছে। সাধারণ যাত্রীবাহী বোটের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর বোটগুলোও স্বাভাবিকভাবে লেকে চলাচল করতে পারছে না। নৌ চলাচল বিঘ্ন ঘটনায় অনেকে দীর্ঘ পথ ঘুরে পায়ে হেটে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছেন।
কাপ্তাই বোটচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শীতল দাশ বলেন, লেকে পানি কম থাকায় অনেক বোট দূরের গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারছে না। অনেক স্থানে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় শুকনো মাটিতে নৌকা ও ইঞ্জিন বোট আটকা পড়ে আছে। ভারী বৃষ্টিপাত শুরু না হলে এবং লেকে পানি না বাড়লে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে আমের ফলনে বিপর্যয়