পাথরঘাটা জপমালা রাণীর ক্যাথিড্রাল ধর্মপল্লীর উদ্যোগে পালিত হলো ঐতিহ্যবাহী মৃত্যুঞ্জয়ী যীশু খ্রিষ্টের যাতনাভাগের কাহিনী অবলম্বনে ‘রামুর পালা’ শতবর্ষ উদযাপন।
গতকাল ১৫ মার্চ পাথরঘাটাস্থ জপমালা রাণী ধর্মপল্লীতে ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে রামুর পালা উদযাপিত হয়েছে। পালা গান পরিচালনা করেন মিঃ তপন গোমেজ এবং তার দল। অনুষ্ঠানের সম্বনকারী ছিলেন পাথরঘাটা ধর্মপল্লীর পাল–পূরোহিত ফাদার রিগেন ক্লেমেন্ট ডি’কস্তা এবং স্বগীয় জর্জ্জ গোমেজের একমাত্র পুত্র জন লিওনার্ড গোমেজ এবং পাথরঘাটা নিবাসী সকল খ্রিষ্টভক্তগণ।
উল্লেখ্য, পাদ্রিশীবপুর নিবাসী স্বর্গীয় রামুয়েল গোমেজ ১৯২৫–১৯২৭ খিষ্টাব্দে যীশুর যাতনাভোগ কাহিনী অবলম্বনে প্রথম এই রামুর পালা প্রচলন করেন। তিনি একজন ধার্মিক এবং সংগীত পিপাসু লোক ছিলেন। তিনি যুবক থাকাকালীন অবস্থায় একটি দল গঠন করে একটি কীর্তন শুরুর উদ্যোগ নেন। উক্ত সময় বাকেরগঞ্জের, কালীগঞ্জের শ্রী কালীপ্রসন্ন চক্রবর্তী নামে এক শিক্ষিত লোক ছিলেন, যিনি গান, রচনা এবং সুর করতে পারতেন। রামুয়েল গোমেজ এবং তার দল শ্রী কালীপ্রসন্ন চক্রবর্র্তীর শরণাপন্ন হয় এবং যীশুর যাতনাভোগের কাহিনী অবলম্বনে একটি পদাবলী কীর্তন রচনা করতে অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে এই পদাবলী কীর্তন রচনা করা হয় এবং নামকরণ করা হয় রামুর পালা যা পরবর্তী সময় হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের সব খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীতে পালন করা হচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।