এবার জোয়ারের পানিতে ভোগান্তি বেড়েছে নগরের কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা মহিম দাস রোড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। জোয়ারের পানিতে গতকাল দুপুরে তলিয়ে যায় সড়কটির বেশ কিছু অংশ। এ সময় পাশের একটি ভবনে এবং দুটি দোকানে ঢুকে যায় পানি। এতে দুর্ভোগ বাড়ে ভবনের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের। এছাড়া সড়কটি ডুবে যাওয়ায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগের দিন রোববার কোতোয়ালী মোড়ে ওয়াসার সংযোগ পাইপ ফেটে যায়। এতে নালা থেকে রাস্তা পানিতে থৈ থৈ করে। আশেপাশের সড়ক হাঁটুপানিতে ডুবে যায়। দুপুরের পর ওয়াসার লোকজন এসে পাইপ লাইন মেরামতের কাজ করে। পাইপ দিয়ে পানি বেরুনো বন্ধও হয়। তবে জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্পের আওতায় দেয়া বাঁধের কারণে বেশিরভাগ পানি নালায় গিয়ে আটকে থাকে। এদিকে গতকাল জোয়ারের সময় এলে জমে থাকা পানির সঙ্গে তীব্রতা বাড়ে জেয়ারের পানিরও। ফলে দুর্ভোগ বাড়ে সাধারণ মানুষের। অবশ্য গত শনিবার থেকে সেখানে জোয়ারের পানি আসছে বলে জানিয়েছেন এক পথচারী।
আলমগীর নামে এক পথচারী বলেন, ওয়াসার পাইপ লাইন মেরামত করা হলেও বাঁধের কারণে তো পানি যেতে পারেনি। এখন জোয়ার আসায় আমাদের কষ্ট বেড়েছে।
সবুজ নামে এক বাসিন্দা বলেন, ওয়াসার পাইপে ভেতরে কোনো লিকেজ আছে কিনা সেটাও চেক করা দরকার।
আরেক পথচারী বলেন, নালার পানি রাস্তায় উঠে গেছে। গত শনিবার থেকে এ সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আজ (গতকাল) সকালে কমে গিয়েছিল। এখন বেড়ে গেছে। একদিন আগে ওয়াসার পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে যে সমস্যা হয়েছিল তা ঠিক করা হয়েছে। নাইম নামে এক বাসিন্দা বলেন, নালার পানিতে আমরা কষ্ট পাচ্ছি। অথচ সিটি কর্পোরেশন চুপচাপ বসে আছে।
ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব আজাদীকে বলেন, নালায় বাধ থাকার কারণে জোয়ারের পানি রাস্তায় ওঠে যাচ্ছে। মহিম দাস রোড, আর্চিচাস রোড, ব্যাপস্টিক মিশন রোড, আলকরণ ২ ও ৩ নম্বর গলিতেও জোয়ারের পানি উঠে যাচ্ছে বলে জানান। বর্ষার আগে খাল-নালার বাধ কেটে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।