চসিক নির্বাচনে ৩৪ নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কয়েকটি কেন্দ্রে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও ইভিএম মেশিন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে কেন্দ্রের একজন প্রিসাইডিং অফিসারসহ অন্তত ৪-৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপরদিকে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে এই ওয়ার্ডের পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সোবহানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল হোসেন বালিকে। দুপুর ১টার দিকে পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় কোতোয়ালী থানায় তার কর্মী-সমর্থকদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। পরে ভোট কেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে ইসমাইল হোসেন বালির বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন।
পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন জানিয়ে ওসি নেজাম বলেন, ইসমাইল হোসেন বালির নেতৃত্বে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন আহত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৩৪ নং ওয়ার্ডে একাধিকবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ইসমাইল হোসেন বালি। এবার নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত পুলক খাস্তগীর। এছাড়া আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বিজয় কৃষ্ণ দাশ ও অনুপ বিশ্বাস কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। এই ওয়ার্ডে মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের প্রার্থী বা অনুসারীদের নিয়ে বড় ধরনের সংঘাতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে সংঘর্ষ, হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার যত ঘটনা; সবই সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে ৩৪ নং ওয়ার্ডে ভোটের পরিস্থিতি শান্ত ছিল। যদিও ১০টার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় আছাদগঞ্জ সোবহানিয়া মাদ্রাসা এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকায় দুই দলের কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মুখোমুখি অবস্থান নিতে দেখা যায়।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে কয়েকশ সমর্থক-ভোটার নিয়ে উপস্থিত হন কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল হোসেন বালি। ভোটদানে বাধা পাওয়ার অভিযোগ এলে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষমান কয়েকটি বাসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলা-সংঘর্ষ হয় কেন্দ্রের ভেতরেও। এই কেন্দ্রে চারটি বুথ আছে। সংঘর্ষে একটি বুথে ইভিএম মেশিন ও জানালার কাচ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।