কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমন দে গতকাল দুপুরে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পরিচালিত কেপিএম স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শনে যান। তিনি স্কুলের প্রতিটি শ্রেণীকক্ষ ঘুরে দেখেন এবং উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের বাংলা, গণিত, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য বই এবং নিয়মিত খেলাধুলা করারও পরামর্শ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেপিএম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আফরোজা আক্তার নূর, সিনিয়র শিক্ষক নাজমুল হুদা, রফিকুল ইসলাম এবং কাপ্তাই প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী মোশাররফ হোসেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমন দে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাধারণ পাঠ্য বইয়ের শিক্ষায় এখন প্রকৃত শিক্ষিত ও মেধাবী হওয়া যাবে না। তিনি শিক্ষার্থীদের ইংরেজী শিক্ষার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন। স্কুলের লাইব্রেরিতে আরো বেশি সংখ্যক বই সংরক্ষণ করা, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্যও তিনি পরামর্শ দেন। স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার প্রতিও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। স্কুলের সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে কর্ণফুলী পেপার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে প্রয়োজনীয় আলোচনা করবেন বলেও তিনি জানান।
প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকা সত্বেও কয়েকজন স্থায়ী শিক্ষক এবং বেশিরভাগ খণ্ডকালীন শিক্ষকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় কেপিএম স্কুল এখনো উপজেলা পর্যায়ে ভালো ফলাফল অর্জন করা এবং অন্যান্য কার্যক্রম সুচারুরুপে বাস্তবায়ন করায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। স্কুলের চতুর্দিকে বিভিন্ন গাছের সমাহার, পর্যাপ্ত খোলামেলা জায়গা এবং বিশাল খেলার মাঠ দেখে তিনি মুগ্ধ হন।
কেপিএম স্কুলের সার্বিক উন্নয়নে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতারও আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমন দে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমন দে স্কুল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এখন ডেঙ্গু রোগের মৌসুম চলছে।
স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যাতে কোন অবস্থাতেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয় সেদিকে সুদৃষ্টি রাখা এবং সর্বত্র পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যও তিনি পরামর্শ দেন। শিক্ষার্থীরা যাতে নিয়মিত স্কুলে আসে এবং কোন শিক্ষক যাতে বিনাঅনুমতিতে স্কুলে অনুপস্থিত না থাকে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্যও তিনি পরামর্শ দেন।