বন্দরনগরী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার অন্তর্গত কলাউজান ইউনিয়নের উত্তর কলাউজান গ্রামে একটি পাঠাগারের খুব প্রয়োজন। গ্রামের অনেক মানুষ কাজের সূত্রে শহরে বা নানা জায়গায় বসবাস করলেও, গ্রামেও রয়েছে স্কুল–মাদ্রাসা, কলেজ পড়ুয়া অত্যাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও বই কেনার সামর্থ্য না থাকায় লেখা–পড়া থেকে অনেক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে। অন্যজন থেকে বই ধার নিয়ে পড়তে হচ্ছে। ইদানীং এই গ্রামে পড়া–লেখার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের। যার কারণে অত্যাধিক শিক্ষার্থীরা পড়া–লেখা ছেড়ে দিয়ে অন্যদিকে মনোযোগী হচ্ছে। এতে প্রভাব ফেলছে গ্রামে বসবাসরত ছোট বাচ্চাদের প্রতি। যারা এখনো শিক্ষার প্রথম ধাপও পার করেনি তারাও পড়া–লেখা থেকে মনোযোগ সরিয়ে ফেলছে। ছোট বাচ্চারাও এখন পড়া–লেখা ছেড়ে দিয়ে মোবাইল গেমিং–এ অতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়ছে। এতে করে পারিবারিকভাবে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, পিতা–মাতার মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হচ্ছে। অত্যাধিক পরিবার সন্তানকে লেখা–পড়া করাতে চেয়েও সন্তানের আগ্রহ কমিয়ে যাচ্ছে বিধায় লেখা–পড়ার দিকে মনোযোগী করতে পারছে না। শিশু–কিশোরকে সঠিকভাবে পথ চলাতে সাহায্য করতে পারে একটি পাঠাগার। একটি পাঠাগার থাকলে শিশু–কিশোরদের আগ্রহ বাড়াতে বিশ্ব সম্পর্কে, ধর্ম সম্পর্কে নানা ধরনের বিষয়াবলি জানানোর জন্য প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করতে পারে, বই নিয়ে জানতে মাসিক সভা বসতে পারে। প্রত্যেকটা শিশু–কিশোরকে পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে পারে এই বিষয়গুলো। পাঠাগার থেকে অনেক ধরনের বই পড়ে নিজে শিখতে পারবে এবং অন্যদের শিখাতে পারবে। তাই, এই গ্রামে একটি পাঠাগারের খুব প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এই গ্রামে একটি পাঠাগারের ব্যবস্থা করা হোক।
উম্মে সালমা
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ।