ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৩ মাস ২৭ দিনে ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩৮ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার মিলেছে। গতকাল শনিবার সকালে মসজিদের ১৩টি দানবাঙ খুলে ৩৫ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। পরে মসজিদ কমপ্লেক্সের দোতলায় নিয়ে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। এসব বস্তাভর্তি টাকা গণনার কাজে অংশ নেন মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক–শিক্ষার্থী, পাশের জামিয়া এমদাদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা–কর্মচারীসহ ৫০০ মানুষ। খবর বাসসের।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানের উপস্থিতিতে দানবাঙগুলো খোলা হয়। এছাড়াও এসময় বিপুলসংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন। গণনা শেষে রাত পৌনে ৮টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাঙ খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহামদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, চলতি বছরের ৩০ আগস্ট ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাঙে ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া যায়। সে সময় এছাড়াও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়।












