কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলেছে সাত কোটির বেশি টাকা। গতকাল শনিবার সকালে মসজিদটির নয়টি দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। সেইসঙ্গে মিলেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গহনাও। এবারের গণনা তত্ত্বাবধানকারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী মহুয়া মমতাজ টাকার পরিমাণ জানান। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে গতকাল সকাল ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম; ডিসি ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাঙগুলো খোলা হয়। টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী মহুয়া মমতাজ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামসহ মাদ্রাসার ২৫৭ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৭০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৪০ জন, ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সব টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হবে। প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এর অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এ দানের টাকা থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুস্থদের আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয় বলে ডিসি জানান।
এর আগে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল মসজিদের নয়টি দানবাঙে ২৭টি বস্তা থেকে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। নগদ টাকার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও হীরাও পাওয়া যায় তখন।